শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

আরও আগ্রাসী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবরোধের ঘোষণা

উত্তপ্ত উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক

প্রতিদিন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সব সিনেট সদস্যকে নিয়ে গতকাল হোয়াইট হাউসে বসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভাবনীয় এই আয়োজনের প্রধান কারণ উত্তর কোরিয়া। পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও আগ্রাসী করে তুলেছে দেশটি। এ অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার লাগাম টেনে ধরতে চান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ জন্য দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধ আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে অবোরোধে কী থাকছে সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে তাদের ওপর কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করা হবে, যাতে দেশটি তার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করে। স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউসে সিনেটের ১০০ সদস্যের সামনে বিশেষ ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট

ট্রাম্পের এ কৌশল ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে মোট সদস্য সংখ্যা ১০০। তাদের সবাই এতে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ব্রিফিং করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও জাতীয় গোয়েন্দা  সংস্থার পরিচালক ড্যান কোট। ব্রিফিংয়ে তারা বলেন, সমঝোতার জন্য ওয়াশিংটন উন্মুক্ত থাকবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজেকে ও তার মিত্রদের রক্ষায় প্রস্তুত থাকবে। ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রায় ৫ মিনিটের মতো অবস্থান করেন। এর আগে প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস পিয়ংইয়ং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে বেইজিংয়ের নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। এ ক্ষেত্রে তিনি বেসামরিক উপায়ে সমাধানের প্রস্তাব করেন। ওয়াশিংটনে হ্যারিস বলেন, ‘সব ধরনের বিকল্পই রয়েছে। আমরা চাই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সুবুদ্ধি হোক।’ যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কূটনীতিক বলেন, হোয়াইট হাউসে গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের সময় ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, পিয়ংইয়ংয়ের লাগাম চীন ধরতে না পারলে সামরিক পথেই এর সমাধান করবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই কূটনীতিক আরও জানান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার ১৫ জন প্রতিনিধিকে বলেন, উত্তর কোরিয়া আলোচনায় রাজি না হলে সামরিকভাবেই সংকটের সমাধান করা হবে। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধংদেহী মনোভাব সাম্প্রতিক সময়ে চরম আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, যে কোনো সময়ই তাদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। গত কয়েকদিনে যেমন যুদ্ধের হুঙ্কার দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তেমনি হুঙ্কার দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। যোগ দিয়েছে ১৫৪টি ক্ষেপণাস্ত্রসহ ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন ইউএসএস মিশিগান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন ব্রিফিংয়ে যা বলেছে তাতে সম্ভবত যুদ্ধটা এখন আর হচ্ছে না। কারণ, তারা সমঝোতার পথ উন্মুক্ত রাখার কথা বলেছে।

সর্বশেষ খবর