শিরোনাম
শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
রাজপথে রাজধানীর সাত মৌজাবাসীর বিক্ষোভ

জীবন দিয়ে জমি রক্ষার শপথ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডা এলাকার সাত মৌজার জমি অধিগ্রহণের খবরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এ অঞ্চলের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, ‘মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যদি রাজউক, ঢাকার জেলা প্রশাসক কিংবা ভূমি মন্ত্রণালয় নতুন করে আমাদের বাপ-দাদার পৈতৃক জমি অধিগ্রহণের করে তাহলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ একাধিক পত্রিকায় রাজউকের ভূমি অধিগ্রহণের খবর প্রকাশের পর বাড্ডা, রামপুরা, শাহজাদপুর, ভাটারা, খিলক্ষেতসহ আশপাশ এলাকার শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। রাজধানীর রামপুরা থেকে বাড্ডা প্রগতি সরণি হয়ে নিকুঞ্জ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বাড্ডা, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানার সাতটি মৌজার ১ হাজার ৩৮৫ একর ভূমি হুকুমদখলের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রের আলোকে রাজউক ও ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে এসব এলাকার জমি মালিকদের খাজনা জমা না নেওয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করে। গতকাল ভাটারা ও কুড়িলের স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। তারা বলেন, এই হুকুমদখলের আদেশ বাস্তবায়ন হলে বাড্ডা থেকে নতুন বাজার হয়ে নিকুঞ্জ পর্যন্ত সাতটি মৌজার যেসব আবাসিক, বাণিজ্যিক বহুতল ভবন ও স্থাপনা গড়ে উঠেছে সেগুলো হুমকির মুখে পড়বে। এতে এই অঞ্চলের হাজার হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পথে বসে যাবে। তারা বলেন, জেলা প্রশাসক এবং রাজউকের এমন সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের প্রতিরোধ করা হবে। একই কথা বলেছেন, ভোলা ও সুভিভোলা মৌজার বাসিন্দারাও।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং এই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ‘আমরা বাড্ডা থেকে নিকুঞ্জ খিলক্ষেত এলাকা পর্যন্ত পুরো এলাকার বাসিন্দারা এক হয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব। একখণ্ড জমিও নতুন করে অধিগ্রহণ করতে দেব না। ডিসি ও ভূমি মন্ত্রণালয় যে খেলা শুরু করেছে, তা যাতে অতিসত্বর বন্ধ হয় সেজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাব; যাতে পুরো এলাকার জমি অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।’ তারা আরও বলেন, এই এলাকায় যদি নতুন করে কেউ অ্যাকোয়ার করতে আসে তাহলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। প্রতিটি মানুষ জীবন বাজি রেখে জমি রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাবে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমাদের সরকার এমন ভুল করবে না; যাতে জনমানুষের ক্ষতি হয়।’ তারা বলেন, এই এলাকা সম্পূর্ণ অবমুক্ত ঘোষণা করে এলাকার মানুষকে শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিক। তারা বলেন, আগে যদি গেজেট না করা হয়ে থাকে তাহলে শেখ হাসিনার সরকার নতুন গেজেট প্রকাশ করে এই এলাকাকে অবমুক্ত করে দিক।

সর্বশেষ খবর