সোমবার, ১ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

এসি সরফরাজের ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

এসি সরফরাজের ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত মেলেনি

রাজশাহী মহানগর পুলিশের অফিসার্স মেস থেকে উদ্ধার হওয়া সহকারী কমিশনার (এসি) সাব্বির আহমেদ সরফরাজের লাশের ময়নাতদন্তে তাকে হত্যার কোনো আলামত পায়নি চিকিৎসক। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে তিন সদস্যের টিম এসি সরফরাজের লাশের ময়নাতদন্ত করে গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর প্রায় ১২টা পর্যন্ত। বারিন্দ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক মনসুর রহমান মেডিকেল টিমের প্রধান। ময়নাতদন্ত শেষে তিনি বলেন, সন্দেহভাজন দিকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। যেমন, পাকস্থলীতে বিষ আছে কি না, কোনো ড্রাগস ছিল কি না— এগুলো জানতে ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। রক্ত নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই সব ফলাফল জানানো হবে। হত্যার কোনো আলামত পেয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মনসুর রহমান বলেন, ‘জি না।’ তাহলে এটা হত্যার দিকে যাবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কখনোই নয়’। তবে লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই সবকিছু স্পষ্ট করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক। শনিবার সকালে আরএমপির অফিসার্স মেসের নিচতলার একটি কক্ষে এসি সরফরাজের লাশ দেখতে পান সহকর্মীরা। জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ ছিল। বিকালে পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে ঘরের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর লাশ রামেক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। এসি সরফরাজের চার বছরের একটি মেয়ে আছে। তার স্ত্রী সুলতানা নাসরিন সূচনা একজন চিকিৎসক। আরএমপির সদর দফতরের সামনের এলাকায় সূচনার বাবার বাড়ি। তবে নগরীর উপশহরে নিজেদের বাসায় থাকতেন এই দম্পতি। পুলিশ বলছে, এসি সরফরাজ মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে যেতেন ওই অফিসার্স মেসে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় ডিউটি শেষে সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেন। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে আবারও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তার লাশ নেওয়া হয় রাজশাহী মহানগর পুলিশ লাইনে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকালে নগরীর টিকাপাড়া গোরস্তানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার নানা-নানীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

সর্বশেষ খবর