বুধবার, ১৭ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকায় জঙ্গি হামলার ঝুঁকি এখনো আছে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ঢাকায় জঙ্গি হামলার ঝুঁকি এখনো আছে

বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিখাইল হেমনিটি উইনথার বলেছেন, গত বছরের জুলাইয়ে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর আমরা সবাই ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। এখনো আমরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। আমাদের চলাফেরায় এখনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। হলি আর্টিজানের মতো জঙ্গি আক্রমণের ঝুঁকি এখনো আছে। তাই নিজেদের রক্ষার জন্য আমরা নিজেরাই নানান পদক্ষেপ নিচ্ছি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন গতির প্রশংসাও করেন উচ্চকণ্ঠে। ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমার নিজের দেশেও (ডেনমার্ক) জঙ্গি আক্রমণের ঝুঁকি আছে। পৃথিবীতে ১৪০টি দেশে এ ঝুঁকি রয়েছে। তবে প্রতিটি দেশে ঝুঁকির মাত্রা আলাদা। আমরা অন্য সহকর্মীর সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা করে থাকি।’ মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের অবস্থা সম্পর্কে মিখাইল বলেন, সেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা সেখানে মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, এটি একটি জটিল বিষয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ডেনমার্ক এর কোনো সমাধান দেবে না। এটি দুদেশ মিলেই সমাধান করতে হবে। তবে আমরা প্রতিটি দেশকে বলি আন্তর্জাতিক নীতি মেনে চলতে। যাতে করে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সমাধান হয়। রামপাল প্রকল্প সম্পর্কে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। বাংলাদেশ সরকার বা জনগণ এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা নেবে এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না। আমরা মনে করি, এ অবস্থায় যত বেশি পরিবেশের ওপর প্রভাব সম্পর্কিত স্টাডি করা যায় তত ভালো। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় উন্নতি করেছে। ইতিমধ্যে দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা বাংলাদেশির সংখ্যা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডেনমার্কের ৭০টি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আসবে বলে আমরা আশা করি। বাংলাদেশ-ডেনমার্কের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই গার্মেন্ট পণ্যের ওপর নির্ভরশীল, এর বাইরে আছে সমুদ্রগামী জাহাজ ও অন্যান্য সামগ্রী। গত বছর ডেনমার্কে বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপিত হওয়ায় এই বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে আশা করেন রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস।

সর্বশেষ খবর