সোমবার, ২২ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইসলাম বিশ্বের মহান ধর্মগুলোর একটি : ট্রাম্প

প্রতিদিন ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামকে বিশ্বের মহান ধর্মগুলোর একটি  হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই হলো ভালো ও মন্দের মধ্যকার লড়াই। বিশ্বব্যাপী মার্কিন নেতৃত্বাধীন চলমান সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই কোনোভাবেই ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই নয়। খবর : সিএনএন। তিনি গতকাল সৌদি আরবের রিয়াদে আরব-ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এ সময় ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ট্রাম্প আরও বলেন, এ সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন গোষ্ঠী বা বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যকার কোনো লড়াই নয়। বরং এটা হচ্ছে বর্বর অপরাধী, বিশেষ করে যারা মানব জীবনকে নির্মূল করতে চায় এবং সব ধর্মের সভ্য মানুষ যারা এটি সুরক্ষা করতে চায়, তাদের মধ্যকার লড়াই। এটা হচ্ছে ভালো ও মন্দের মধ্যকার লড়াই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প প্রথম বিদেশ সফরের প্রথম পর্বে গত শনিবার সৌদি আরবে পৌঁছান। সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল বিশ্বের ৫০টির বেশি মুসলিম দেশের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন তিনি। পর্যবেক্ষকরা জানান, ট্রাম্প তার ভাষণে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের বোঝা মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের ভাগাভাগি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইকে ভালো ও মন্দের মধ্যকার লড়াই হিসেবে বর্ণনা করার জোর চেষ্টা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মূলত ‘যুক্তরাষ্ট্র যে ইসলামের সঙ্গে কোনো প্রকার যুদ্ধে জড়িত নয়’— এটাই ভাষণের মাধ্যমে স্পষ্ট করতে চেয়েছেন। ট্রাম্প তার বক্তৃতায় সন্ত্রাসীদের সব সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে নির্মূল করার জন্য সম্মেলনে অংশ নেওয়া মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ‘মুসলিম দেশগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে’ বলে তিনি উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে নির্মূল করুন। আপনাদের উপাসনালয় থেকে তাদের বিতাড়িত করুন, আপনাদের পবিত্র ভূমি থেকে তাদের বিতাড়িত করুন। তাদের এই পৃথিবী থেকে বিতাড়িত করুন।’ সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে মধ্যপ্রাচ্য, আরব ও মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোকে আমেরিকান শক্তির জন্য অপেক্ষা না করে ‘তাদের নিজেদেরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে’ বলেও জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে আমেরিকান ক্ষমতার জন্য অপেক্ষা না করে, বরং তার পরিবর্তে আপনাদের নিজেদের জন্য, নিজেদের দেশগুলোর জন্য এবং নিজেদের সন্তানদের জন্য কী ধরনের ভবিষ্যৎ চান, সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব এসব দেশের ওপরই বেশি পড়েছে।’ ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসবিরোধী লড়াই আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও ট্রাম্প তার বক্তৃতায় জোর দিয়েছেন। এ জন্য মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে এক্ষেত্রে আরও গঠনমূলক সম্পর্ক দরকার বলে ট্রাম্প উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ খবর