সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর হবে তিন ধাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর হবে তিন ধাপে

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর তিন ধাপে নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পিসিআই। প্রথম পর্যায়ে লাগবে পাঁচ বছর। এ ছাড়া জাইকা মাতারবাড়িতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের বাজেট অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। কক্সবাজার-১ আসনের মোহাম্মদ ইলিয়াছের প্রশ্নে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে জাপানের প্যাসিফিক কনসালট্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল (পিসিআই) সমীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়।  এতে সোনাদিয়ায় বন্দর নির্মাণে দ্বিতীয় পর্যায় ২০৩৫ এবং তৃতীয় পর্যায়ের কাজ ২০৫৫ সালে শেষ করার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর সরকারের ফাস্ট ট্রাক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।’ ফেনী-৩ আসনের রহিম উল্লাহর প্রশ্নে শাজাহান খান জানান, প্রতিটি লঞ্চে ভয়েজ ডিক্লারেশন বাধ্যতামূলক। কোনো লঞ্চ বা স্টিমারে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম পর্যাপ্ত না থাকলে ওই লঞ্চের যাত্রা স্থগিতসহ মামলা দায়ের করা যায়। মন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে ৬ হাজার কিলোমিটার এবং শুষ্ক মৌসুমে ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার নৌপথ আছে। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘মৃতপ্রায় নদী পুনরুদ্ধারে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খনন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ২৪টি নৌপথ খনন এবং ৫০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ খননের কাজ চলমান। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নৌ-টার্মিনাল নির্মাণসহ চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত ৯০০ কিলোমিটার নৌপথে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে। এ ছাড়া ১৪টি ল্যান্ডিং স্টেশন উন্নয়ন, ৬টি ভেসেল সাইক্লোন শেল্টার, ৬টি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ২টি কার্গো টার্মিনাল এবং ৩০০ কিলোমিটার নেভিগেশনাল এইড স্থাপন করা হবে।’

সর্বশেষ খবর