মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
মানবদেহে অঙ্গ সংযোজন আইনের খসড়া অনুমোদন

রোডম্যাপ নিয়ে মন্তব্য নয় : প্রধানমন্ত্রী

নিজামুল হক বিপুল

আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সেটি নিয়ে বিক্ষিপ্ত বা বিচ্ছিন্নভাবে কাউকে কোনো বক্তব্য না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনা। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া রোডম্যাপ দিয়েছে তাকে ইতিবাচক হিসেবে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন থেকে মন্ত্রীদের কাছে পাঠানো একটি চিঠির সূত্র ধরে আলোচনার সূত্রপাত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তখন ওই আলোচনায় অংশ নেন মন্ত্রিসভার একাধিক সিনিয়র সদস্য।

বৈঠক সূত্র জানায়, আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী রোডম্যাপ নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল বলেন, ‘রোডম্যাপ ঘোষণায় ইতিবাচক-নেতিবাচক কোনোটাই নেই। এটা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। একে রোডম্যাপ কেন বলা হলো তাও জানি না। নির্বাচনের আগে এটা প্রস্তুতিমূলক কাজের তালিকা, এটা নতুন কথাও নয়।’ তিনি বলেন, ‘সব নির্বাচন কমিশনকেই নির্বাচন করার আগে সীমানা নির্ধারণ করতে হয়, ভোটার তালিকাও তৈরি করতে হয়। কোথাও আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তা ঠিকঠাকমতো করাও তাদের কাজ। এখানে নতুন কী আছে? এই রোডম্যাপের মাধ্যমে বড় ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তারা করছেন, তাও নয়। রোডম্যাপ বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে রোড কোথায়, ম্যাপ কোথায়? রোডটা কী? তারা কি নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণ করবে না? তারা কি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবে না?’ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘রোডম্যাপ ঘোষণার বাইরেও তাদের অতিরিক্ত আরও কিছু কাজ আছে। আমাদের দেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, তা স্বাভাবিক হয়নি। যে কারণে দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন যেহেতু হচ্ছে না, তাই অস্বাভাবিক অবস্থা মোকাবিলায় তাদের কী পরিকল্পনা আছে, তা জানা জরুরি। নির্বাচন ঘিরে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী থাকবে তাও বলা উচিত ছিল।’

 

সর্বশেষ খবর