শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সংবিধান তো বাইবেল নয় যে পরিবর্তন করা যাবে না : ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের আগে একটি সহায়ক সরকার প্রয়োজন আছে। বর্তমান সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের সাহস নেই। নির্বাচন করতে গেলেই তারা সেভাবে সুবিধা করতে পারবে না। ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে না। সে কারণে সংবিধানের নানা কথা বলে তারা বাধা দিচ্ছেন। সংবিধান তো কোনো বাইবেল নয় যে তৈরি করা যাবে না। সংবিধান মানুষেরই তৈরি। গতকাল দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা যুবদলের সভাপতি আবু নুর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর হোসেন তুহিন প্রমুখ। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে গেলে প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। অতীতের মতো আমরা রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐকমত্যে আসতে পারি, তাহলে  সেটি পরিবর্তন করতে সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করতে পারবে না। এবার নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সরকারে থাকলে শুধু ক্ষমতাকে খর্ব করা হয়, নির্বাচন কমিশনে চাপ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে সেই নির্বাচন তো গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া তারা ইচ্ছা করলেও আবার ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে পারবে না। এটা দেশবাসী মেনে নেবে না। আমরা সব সময় বলেছি, সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, অন্য কোনো উপায়ে নয়। তাই নির্বাচন করতে গেলে সবার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।  তিনি বলেন, খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায়, আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ। জবাবদিহিতা না থাকলে লুটপাট নিয়ে এসব দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আজ ঠাকুরগাঁওয়ের মতো শান্তিপ্রিয় জায়গায়ও প্রকাশ্যে খুন হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরাও আওয়ামী লীগের সমালোচনা করি। রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনেই করি, কিন্তু আওয়ামী লীগ ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করে। বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডন সফরকে ঘিরেও দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে। বেগম জিয়া বাইরে চলে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ১/১১’র পরে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।

সর্বশেষ খবর