ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি শুধু উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত বা উন্নত দেশের নয়। বাস্তবতা হলো, বিশ্বের কিছু দেশ জলবায়ু দূষণের জন্য দায়ী এবং কিছু দেশ এ দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত। দূষণের জন্য দায়ী দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে, এটাই আমাদের দাবি।’ গতকাল চ্যানেল আইয়ে টিআইবি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিতের মাধ্যমে সুশাসন’ শীর্ষক দক্ষিণ এশীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে তিনি এ কথা বলেন। টিআইবির ক্লাইমেট ফিন্যান্স পলিসি ইন্টেগ্রিটি প্রোগ্রামের আওতায় এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও বাংলাদেশের মোট আটটি দলের ১৬ জন এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সাবেক বিতার্কিক আবদুন নূর তুষার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টিআইবির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এ সময় ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, দূষণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং অভিযোজন কার্যক্রমে ক্ষতিপূরণ প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে। অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় কার্যকর জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়নের জন্য স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচারই প্রধান শর্ত। ‘অভিযোজন অর্থায়নের কার্যকর আহরণ ও ব্যবহার নিশ্চিতে প্রয়োজন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং শুদ্ধাচার’ এ প্রতিপাদ্যে ১৯ ও ২০ জুলাই আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় বিতর্কের তিন রাউন্ড পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে শ্রীলঙ্কার বিতার্কিক দল রানার-আপ এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বিতার্কিকের পুরস্কার লাভ করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বাংলাদেশ দলের বিতার্কিক মোহাম্মদ ইবনে এনায়েত। উল্লেখ্য, ১৯ মে টিআইবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ রাউন্ডে ১২টি দল অংশগ্রহণ করে এবং বিজয়ী ৪টি দল দক্ষিণ এশীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।