মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
শুরু হচ্ছে আজ

ডিসি সম্মেলনে উঠছে ৩৪৯ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। পরবর্তী কার্য-অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে। এবারের সম্মেলনে ২২টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে ১৮টি কার্য-অধিবেশনে ডিসিদের পাঠানো ৩৪৯টি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। সচিবালয়ে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিরা যেসব প্রস্তাব করেছেন, সেগুলো নিয়ে সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে বিস্তারিত আলোচনা হবে। মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে জেলা প্রশাসকরা যেসব আইনগত, প্রশাসনিক, আর্থিক কিংবা অন্যান্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন—আলোচনা হবে সেসব বিষয়েও। এগুলো ছাড়াও বিদ্যমান সম্ভাবনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় হবে। বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেওয়া হবে।’ শফিউল আলম জানান, সম্মেলন উদ্বোধনের পর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কবরী হলে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবেন ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা। মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৪টায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিটি কর্মঅধিবেশন। প্রথম দিনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, শিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়ের বিষয়গুলো আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে।

সর্বশেষ খবর