মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

লন্ডনে পারিবারিক সময় কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া

শফিউল আলম দোলন

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। একমাত্র পুত্র তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে দুই পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান ও শার্মিলা রহমান শাশুড়ি খালেদা জিয়ার যাবতীয় দেখাশোনা ও সেবা-শুশ্রূষা করছেন। পশ্চিম লন্ডনের সারে জেলার কিংস্টন এলাকায় ছেলের বাসায় থেকেই নিজের চিকিৎসাও নিচ্ছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। সোমবার একই এলাকায় অবস্থিত ‘কিংস্টন হাসপাতালে’ প্রিয় মাকে চোখের ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে এসেছেন তারেক রহমান। লন্ডনে পৌঁছার পর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য, সফরসঙ্গী একান্ত সহকারী আবদুস সাত্তার আর গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ছাড়া বাইরের আর কারও কোনো দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। লন্ডন বিএনপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মহিদুর রহমান এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি মূলত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সফর। দেশে ছেলে, ছেলের বউ বা নাতনিদের কেউই তার সঙ্গে থাকেন না। পরিবারের সব সদস্যই যেহেতু লন্ডনে, সে কারণেই কিছুটা সময় এখানে কাটাতে এসেছেন তিনি। আর মা ও ছেলে দুজনই যেহেতু দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাই রাজনৈতিক আলোচনা তো হতেই পারে তাদের মধ্যে। জানা গেছে, ১৫ জুলাই রাতে ঢাকা থেকে রওনা দেওয়ার পরদিন লন্ডনের হিথ্র বিমানবন্দরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে যান। এর পর থেকে আজ পর্যন্ত গত ১০ দিনের মধ্যে পরিবারের বাইরের কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তার কোনো দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। একই সময়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিষয়ক এক সেমিনারে অংশ নিতে ঢাকা থেকে যাওয়া প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানারও সাক্ষাৎ হয়নি চেয়ারপারসনের সঙ্গে। তারা দুজনই এখন ঢাকার পথে। বেগম জিয়ার সঙ্গে একই উড়োজাহাজের ফ্লাইটে লন্ডনে গেলেও বিমানবন্দরে নামার পর আর এ পর্যন্ত কোনো সাক্ষাৎ হয়নি বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের। তিনি এখন লন্ডনে নিজেদের পারিবারিক ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে লন্ডনে অবস্থানরত বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শফিক রেহমান, সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী অথবা লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদসহ স্থানীয় কোনো নেতা বা ব্যক্তির বেগম জিয়ার সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি। জানা গেছে, এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার বড় নাতনি ও তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জায়মা রহমান তার একাডেমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ‘গ্র্যাজুয়েশন’ লাভ করেছেন। মাত্র দুই দিন আগে ছিল তার ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি’। অসুস্থতার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে না গেলেও বাসায় বসেই প্রিয় নাতনিকে অভিনন্দন জানান খালেদা জিয়া। এ উপলক্ষে বাসায় পরিবারের সদস্যরা ছোটখাটো একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন বলে জানা যায়। রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা আপাতত না থাকলেও ঈদুল আজহা পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করলে ঈদ উপলক্ষে সেখানে প্রবাসী নাগরিকদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিতে পারেন বলে লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর