রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
পানি বাড়া-কমার সন্ধিক্ষণে বন্যা

দুর্গত এলাকায় শুধুই হাহাকার

প্রতিদিন ডেস্ক

দুর্গত এলাকায় শুধুই হাহাকার

বিশুদ্ধ পানি আর তীব্র খাবার সংকটে বন্যার্তরা। গতকাল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পল্লীতে ত্রাণের জন্য হাহাকার বানভাসিদের —বাংলাদেশ প্রতিদিন

উজানের ঢল ও বৃষ্টি কমার কারণে দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। নদ-নদীর পানি বাড়া-কমার সন্ধিক্ষণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুর্গত এলাকার মানুষ। আশ্রয়, খাদ্য, পানীয় জল, চিকিৎসা, পোষা পশু-পাখি সংরক্ষণের অভাবে চলছে হাহাকার অবস্থা। এ ছাড়া বন্যাজনিত ভাঙন, প্লাবিত হওয়া এবং বিভিন্ন স্থানে ধসের ঘটনা ঘটেই  চলেছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বিবরণ— লালমনিরহাট : স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় লালমনিরহাটের ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। নদ-নদীর পানি কিছুটা নেমে গেলেও বন্যাদুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে নানা রোগ। সাত দিনে দেড় হাজারেরও বেশি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই দিন ধরে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও পানিবন্দী মানুষ বিশেষ করে তিস্তা-ধরলার অববাহিকার ৬৩ চরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর-সর্দি-কাশি-পায়ের ঘা, ডায়রিয়া, আমাশয়, চুলকানি ও চর্মরোগ। আক্রান্ত বানভাসিরা জানান, তাদের হাতে নেই কোনো টাকাপয়সা। কী দিয়ে তারা চিকিৎসা করাবেন, আর কীভাবেই বা চলবেন এসব ভেবে দিশাহারা। এই চরম দুঃসময়ে পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের কাউকে। কুলাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শত শত বানভাসি মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হলেও তারা চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’ নওগাঁ : ছোট যমুনা, আত্রাই ও পুনর্ভবা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। শহরের ইকরতারা নামক স্থানে ছোট যমুনার বাঁধ ভাঙা স্থান দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। এদিকে গত তিন দিনে বন্যার পানিতে ডুবে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন মহাদেবপুর উপজেলার আলীদেওনা গ্রামের কমর উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান (৫০) ও রানীনগর উপজেলার কনুজ গ্রামের ঋষিপাড়ার সতীশের ছেলে অজিত চন্দ্র (৫৫)। এ ছাড়া আত্রাই উপজেলার হেঙ্গলকান্দি গ্রামে বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে পড়ে ইয়াম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ইয়াম ওই গ্রামের মিন্টুর ছেলে। এ ছাড়া ১১ উপজেলার মধ্যে ৯টির বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বেসরকারি হিসাবে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ৯ উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। জেলা সদরের সঙ্গে আত্রাই ও নাটোরের সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ। দিনাজপুর : দিনাজপুরের পাড়ায় পাড়ায় এখন বন্যার বীভৎসতা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। যেমন গর্ভেশ্বরী নদীর মাঝখানে অবস্থিত দ্বিঘন গ্রামের কয়েক বন্যার্ত সাইদুর রহমান, আসমা বেগম, কিশোরী মরিয়ম, আজাদুর রহমান প্রায় একইভাবে বলেন, ‘উজানের বয়ে আসা বন্যার পানি আমাদের দুয়ারে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই যে যেমন পারি বাঁচার তাগিদে পাশে দ্বিঘন মাদ্রাসায় গিয়ে উঠি। তারপর মাটির ঘরগুলো মাটির সঙ্গেই মিশে যায়। মাটিতে চাপা পড়ে শোবার খাট, হাঁড়িপাতিল, চাল-ডালসহ সংসারের দরকারি জিনিসপত্র। সেদিন থেকে দুই দিন নির্ঘুম রাত কাটাই, খাওয়া তো দূরের কথা। কীভাবে কেটেছে তা ভাবলে শিউরে উঠি। চোখের পানি ফেলা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।’ তারা জানান, নমিপাড়ার প্রায় ৫০ পরিবারের মাটির ঘরগুলোর কোনো চিহ্নই আর নেই। কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে বন্যায় যোগাযোগব্যবস্থা বেহাল হয়ে আছে। কাঁচা সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে যাওয়া কাঁচা সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট দিয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামত ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করে দুর্ভোগ কমানোর দাবি জানায় এলাকাবাসী। নৌকায় শিশু ভূমিষ্ঠ : বন্যার পানিতে ভেসে বেড়ানো নৌকায় শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে উলিপুর উপজেলার দুর্গম চর বালাডোবা গ্রাম থেকে। ওই গ্রামের চান মিয়ার স্ত্রী আকলিমা জানান, তার মেয়ে আনোয়ারার সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয় পার্বতীপুরের মাহবুবের। দিনমজুর মাহবুব আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি রেখে শহরের কাজে যান। এদিকে ৯ আগস্ট তাদের ঘরে বন্যার পানি ঢোকে। সেই পানি বাড়তে বাড়তে বুকসমান হয়। বাধ্য হয়ে চান মিয়ার পরিবারটি নৌকায় আশ্রয় নেয়। নৌকাতেই চলে নাওয়া-খাওয়া। পরদিন রাতে মেয়ে আনোয়ারার প্রসব বেদনা উঠলে ডাকা হয় দাই। সন্ধ্যারাতেই জন্ম নেয় একটি ছেলে সন্তান। খুশির ঝিলিক বয়ে যায় দুর্গত পরিবারটিতে। গতকাল চান মিয়া তার নাতির জন্য সবার দোয়া কামনা করেন। তিনি জানান, নাতির নাম রাখা হয়েছে আল আমিন। বর্তমানে তারা একটি আশ্রয় কেন্দ্রে নবজাতকটিকে নিয়ে একসঙ্গে আছেন। গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব কটি নদ-নদীর পানি কয়েক দিন থেকে কমতে থাকলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ার পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তামুখ ঘাটে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি শহর পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। জয়পুরহাট : আক্কেলপুর পৌর শহরের পারঘাট এলাকায় গতকাল তুলসীগঙ্গা নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত সাড়ে তিন শ বাড়িঘর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ : পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবায় পানি বেড়েছে। তবে পদ্মা ও মহানন্দায় পানি বিপদসীমার নিচে থাকলেও পুনর্ভবার পানি বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় পুনর্ভবার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মায় পানি বেড়েছে ৯ সেন্টিমিটার। তবে এখনো বিপদসীমার প্রায় ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর মহানন্দায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধির পরও বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুনর্ভবার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির কারণে গোমস্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ : যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও বন্যাকবলিতদের দুর্ভোগ কমেনি। এখনো বসতভিটায় পানি থাকায় চরম কষ্টে দিনরাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। বাঁধে পলিথিন-চট দিয়ে গরু-ছাগলের সঙ্গে রাত কাটাতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হয়। পানিতে চলাফেরা করায় পানিবাহিত রোগ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। শুকনো খড়ির অভাবে ঠিকমতো রান্না হচ্ছে না অনেকের বাড়িতে। সরকারিভাবে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও তা অপ্রতুল। এ অবস্থায় বন্যাকবলিতরা খাদ্য-ওষুধ ও পানি সরবরাহের দাবি করেছেন। বগুড়া : সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি ৫৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনায় কমলেও বাড়ছে বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি। গতকাল বাঙালির পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও অনেক দুর্গত এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছেনি। এ ছাড়া যমুনার পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানির অভাব। নোংরা পানিই খাবার হিসেবে ব্যবহার করছেন বানভাসিরা। ফলে জ্বর ও বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে। কুষ্টিয়া : পদ্মার হার্ডিঞ্জ সেতু পয়েন্টে পানির উচ্চতা সতর্ক মাত্রায় পৌঁছেছে। গতকাল সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) স্থানীয় কার্যালয় এ তথ্য দিয়েছে। এদিকে পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসল ডুবে গেছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টায় হার্ডিঞ্জ সেতু পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৩.৭৭ মিটার। শুক্রবার সকাল ৯টায় যা ছিল ১৩.৬৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার। শরীয়তপুর : নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপলোর বেশকিছু এলাকা বন্যায় প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি ভাঙনকবলিত হয়েছে পদ্মাপাড়ের কয়েক হাজার মানুষ। শরীয়তপুরে বিকাল ৩টায় সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হ?চ্ছিল। নড়িয়া-জাজিরার প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের ওপর দিয়ে পানি বইছে। পানি ঢুকছে ছোট নদ-নদীগুলোর শাখা দিয়ে। মাদারীপুর : পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁয় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী ভাঙনের ব্যাপকতা বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মাণাধীন দ্বিতীয় সেতুর স্টকইয়ার্ড ভাঙনের মুখে পড়েছে। মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জে নদ-নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলোয় বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সকাল ৯টা থেকে শ্রীনগর ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল। জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দীঘির পাড় ইউনিয়নের হাইয়ের পাড়া এলাকায় ভাঙনে ৮টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফরিদপুর : জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু গ্রাম। ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, চর মাধদিয়া, ডিক্রির চর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়ন ছাড়াও চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি কাঁচা-পাকা রাস্তা তলিয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারের দোকানগুলোয় পানি ঢুকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জেএসডির : বন্যাকবলিত অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। একই সঙ্গে দুর্গত অঞ্চলে সুপেয় পানি ও খাদ্যের ব্যবস্থা করাসহ ফসল না ওঠা পর্যন্ত রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি তাদের সব কৃষিঋণ মওকুফ এবং নতুন ফসল আবাদের জন্য বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল জেএসডির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সভায় গৃহীত প্রস্তাবনায় সরকারের কাছে এসব দাবি করা হয়।

স্বেচ্ছা শ্রম দেবে ইসলামী আন্দোলন : বন্যাপরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘর-বাড়ি নির্মাণে স্বেচ্ছা শ্রম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল পুরানা পল্টনের আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির সভায় সংগঠনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সর্বশেষ খবর