আসামিরা যে ধরনের অপরাধ করেছেন, তাতে তারা ছাড়া পেয়ে গেলে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণ আস্থাহীনতায় ভুগবে। কতিপয় ব্যক্তির অপকর্মের কারণে র্যাবের গৌরবময় কর্মকাণ্ড বৃথা যেতে পারে না। তাদের সন্ত্রাসবিরোধী গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ধূলিসাৎ হতে পারে না। তবে র্যাবের কিছু সদস্যের অপরাধবৃত্তি মানবসভ্যতায় আতঙ্কজনক পরিবেশের উদ্রেক করে। তারা এতটাই পাশবিকতা দেখিয়েছে, যা ছিল নিষ্ঠুরতার সর্বোচ্চ প্রকাশ। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি ভবানীপ্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ে এসব পর্যবেক্ষণ দেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতেই লাশ নদীতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ছিল ঘটনার আলামত নিশ্চিহ্ন করা। পরে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলেছেন, র্যাব একটি এলিট ফোর্স। এই ফোর্স সব সময় মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করে চলেছে। এই ফোর্সের কতিপয় ব্যক্তির জন্য পুরো বাহিনীকে দোষারোপ করা যাবে না। রায়ের ব্যাপারে ব্যক্তিগত অভিমত সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি মনে করি দু-কজন অপরাধীর জন্য একটি বিশেষ বাহিনীকে দায়ী করা যাবে না এবং এই দু-একজনের কারণে এই বাহিনীর উজ্জ্বল ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ারও কোনো কারণ নেই।