রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কে চার বাংলাদেশির ওপর হামলা

প্রতিদিন ডেস্ক

নিউইয়র্কে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চার বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এদের দুজন হলেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম (৭২) এবং কমিউনিটি লিডার খবির উদ্দিন ভূঁইয়া (৫৮)। মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে এলমহার্স্ট হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে খবির উদ্দিনকে চিকিৎসা শেষে বাসায় বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। অন্য দুজনের আঘাত ততটা মারাত্মক নয় বলে হাসপাতালে যেতে হয়নি। খবর এনআরবির।

কুইন্সের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকা এবং ব্রঙ্কসের ক্যাসেলহিলে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। খবির উদ্দিনের কাছ থেকে কোনো কিছু না নিলেও শাহ আলমের মুঠোফোনটি দুর্বৃত্তরা কেড়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। উভয় ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ কোনো দুর্বৃত্ত গ্রেফতার হয়েছে বলে নিউইয়র্ক পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যায়নি। তবে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার পর নির্জন স্থান দিয়ে চলাচলে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটি লিডাররা। কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউ থেকে বাসায় ফেরার পথে কয়েকজন দুর্বৃত্ত দ্বারা আক্রান্ত হন। তার ঘাড় ও মাথার পেছনে প্রচণ্ড আঘাত করা হয়। এ সময় তার হাতে থাকা মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জ্ঞান না ফেরায় শাহ আলমকে এলমহার্স্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে জমে থাকা রক্ত অপসারণ করা হয়েছে। তবে তার জ্ঞান এখনো ফেরেনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যদি জ্ঞান না ফেরে আবারও তার মাথায় অস্ত্রোপচার করতে হবে এবং তা কোনোভাবেই সুফল বয়ে আনবে বলে আশা করা যায় না। এটি ধর্মীয় বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক কোনো হামলা নয় বলে তদন্ত কর্মকর্তারা দাবি করলেও কমিউনিটি নেতারা তা মানতে রাজি নন। এর ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ব্রঙ্কসের ক্যাসেলহিল সাবওয়ের অদূরে মো. খবির উদ্দিন ভূঁইয়াকে চার-পাঁচজন যুবক এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর জখম করে। খবির উদ্দিনের দেশের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। তিনি সপরিবারে দীর্ঘদিন ওই এলাকায় বসবাস করছেন। জানা গেছে, স্থানীয় বাংলাবাজার এভিনিউয়ে একটি স্টোর থেকে কেনাকাটা করে বাসায় ফেরার পথে অতর্কিত হামলার শিকার হন তিনি। দুর্বৃত্তরা অকস্মাৎ তার মুখে ও শরীরে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেয়। তারা তার সঙ্গে থাকা ফোন কিংবা অর্থকড়ি কিছু নেয়নি। পরে পুলিশ এসে তাকে স্থানীয় জ্যাকবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শেষে পরদিন সকালে খবির উদ্দিনকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর