দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। টেন্ডারের চলমান প্রক্রিয়া আমাদের দেশের দুর্নীতির উৎস। প্রতিটি টেন্ডার প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক (ই-টেন্ডারিং) প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা উচিত। এ প্রক্রিয়ায় প্রধান এবং সাপোর্টিং টেন্ডারের প্রচলন রয়েছে। এক্ষেত্রে নিগোসিয়েশন হচ্ছে। এ নিগোসিয়েশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে দুদকে অভিযোগ আসছে। গতকাল সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ কম্পিটিশন কমিশনের মধ্যে পারস্পরিক দ্বিপক্ষীয় সমঝোতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, আসাদুজ্জামান, জাফর ইকবাল, আতিকুর রহমান খান ও বাংলাদেশ কম্পিটিশন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল খান চৌধুরী ও তিনজন কমিশনার। দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, নিগোসিয়েশন হতে পারে। তা হতে পারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে। তিনি বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে দুর্নীতির সুযোগ কমে যাবে। মার্কেটে যদি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে পণ্য উৎপাদনে সৃজনশীলতা আসবে। মানসম্পন্ন পণ্যের জোগান বাড়বে। দ্রব্যমূল্য কমবে। জনগণের ভোগান্তি কমবে।
আবার কেউ ব্যবসার নামে অবৈধ আয় করতে পারবেন না।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক কম্পিটিশন কমিশনসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায়।পরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তার কোনো মন্তব্য নেই বলে জানান। অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুদক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সব সিদ্ধান্ত দুদক আইন অনুযায়ী হয়। কম্পিটিশন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল খান চৌধুরী বলেন, এটি একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। তাই আমরা দুদকের তদন্ত এবং প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতার সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, আমরা দুদকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য একটি লিখিত প্রস্তাব দিতে চাই। হঠাৎ করে চালের দাম বা পিয়াজের দাম বাড়িয়ে কিছু লোক দ্রুত ধনী হতে চায়।
এসব ক্ষেত্রে কম্পিটিশন কমিশন হস্তক্ষেপ করবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।