সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ধরা হবে, ছাড়া হবে না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমার কথা শোনেননি। এখন দুদক রাস্তায় ধরেছে। ধরা হবে, ছাড়া হবে না। এই রাস্তা নিরাপদ করতে হবে। আমাদের বাঁচতে হলে ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ সড়ক আমরা গড়ে তুলবই।

গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এ সেমিনারের আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, কী করে এত আনফিট গাড়ি, লক্কড়ঝক্কড় মার্কা গাড়ি রাস্তায় আসে? বাংলাদেশের এত অর্জন, সমৃদ্ধি, সেই দেশের রাজধানীতে কয়টা গাড়ির চেহারা সুন্দর আছে? এত অর্জনের দেশ ও বিপুল সম্ভাবনার দেশের রাজধানী ঢাকা শহরের এত গরিব গরিব গাড়ি গ্রামেও নেই। আপনারা দেশকে ছোট করছেন। ঢাকা শহরে এসে বিদেশিরা আমাদের লজ্জা দিচ্ছে আমাদের যানজটের জন্য, আমাদের ফিটনেসবিহীন গাড়ির জন্য। সেতুমন্ত্রী বলেন, সেই লজ্জায় কি আমরা ডুবছি না? শুধু কি জলাবদ্ধতার পানিতে ডুবছি? এ ধরনের লজ্জায় আমরা ডুবছি। সবাইকে বলব মানসিকতার পরিবর্তন করতে। লজ্জার বিষয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিস দিয়েও উল্টো পথে যাওয়ার খারাপ প্র্যাকটিস বন্ধ করতে পারিনি। এই কি আমাদের শিক্ষা, এ শিক্ষার আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় দলীয় কর্মীরা হেলমেট ছাড়া এক মোটরসাইকেলে তিনজন বসে আলেক্সান্ডারের মতো রাস্তায় নামেন। এগুলো আমাদের কতজন জনপ্রতিনিধি খেয়াল করেন? জনপ্রতিনিধিরা ঢাকা থেকে এলাকায় গেলে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য মাইলের পর মাইল পথ বন্ধ করে রাখেন। একদিকে পেট্রল খরচ করছে, অন্যদিকে নিজেরা সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।

উল্টো পথে যান চলাচল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘অসাধারণ রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, অসাধারণ মানুষ, অসাধারণ আইনজীবী, অসাধারণ সাংবাদিক— আমরা কেউ রাস্তায় আইন মানতে চাই না। সাংবাদিক নন, তবু সাংবাদিকের স্টিকার। কত যে ভুয়া। ভরে গেছে ভুয়ায়। জনপ্রতিনিধি নয়, এমপি নয়, তবু নীলক্ষেত মার্কা ভুয়া স্টিকারে চলেন তারা। ওবায়দুল কাদের বলেন, সমন্বিতভাবে, পরিকল্পিতভাবে রাস্তার ও পরিবহনের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেমিনারে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, পথচারী ও মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা বাড়ছে। হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশ ঠিকমতো কাজ করছে না। তবে কিছু উদ্যোগ প্রশংসনীয়। দেশের জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাজগুলো করছেন না। আমার দাবি, নিরাপদ সড়কের জন্য জনপ্রতিনিধিরা যেন তাদের নিজ নিজ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রচারণা করেন। শুধু এক দিনের জন্য এ দিবস নয়। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক বিভাগের সচিব এম এন সিদ্দিক, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মইনুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আহসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর