শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
মার্কিন প্রতিবেদন

পশু পাচারে রুট বাংলাদেশ

প্রতিদিন ডেস্ক

পশু পাচারসংক্রান্ত রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের নাম এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ করা তালিকা সম্পর্কে বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, বন্যপ্রাণী চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশের নাম আছে।

প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, চোরাচালানের অঞ্চল ও রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশ, ব্রাজিল, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চীন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাওস, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, টোগো, উগান্ডা, আরব আমিরাত ও ভিয়েতনামকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মদদদাতা রাষ্ট্র হলো মাদাগাস্কার, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও লাওস। প্রেস রিলিজে আরও বলা হয়, বন্যপ্রাণী পাচার থেকে সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সূত্রপাত হয়। এ কারণে সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, আইনের শাসন ও মানুষের স্বাস্থ্য পর্যন্ত ঝুঁকিতে পড়ছে। কোন রাষ্ট্রগুলোকে কেন্দ্র করে চোরাচালান হচ্ছে এবং কোন রাষ্ট্রগুলো চোরাচালানে মদদ দিচ্ছে— এমন দুটি পৃথক তালিকা প্রকাশ করে প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, বন্যপ্রাণী পাচার রোধ আইন, ২০১৬ অনুসারে মার্কিন কংগ্রেসে প্রথমবারের মতো বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ৯ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন তার প্রধান চারটি ইস্যুর একটি হলো বন্যপ্রাণী পাচার রোধসংক্রান্ত আদেশ। সংঘবদ্ধ এই অপরাধী চক্রকে ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কোন রাষ্ট্রগুলো বন্যপ্রাণী চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কোন কোন রাষ্ট্র এতে মদদ দিচ্ছে— এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কংগ্রেসে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

বন্যপ্রাণী চোরাচালানের মূল উৎস, ট্রানজিট পয়েন্ট, চোরাচালানকৃত বন্যপ্রাণীর ক্রেতা ও এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনাকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত মূল রাষ্ট্রগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর