পাবনায় নিখোঁজের দুই মাস পর বন্ধুর বেডরুমে মিলল কলেজছাত্রের লাশ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে রবিউল ইসলাম নামের ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলার সুজানগর উপজেলার উলাট গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা। সুজানগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, সুজানগর সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রবিউল গত ২০ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রবিউলের পরিবারের কাছে মুঠোফোনে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তিপণ না দেওয়া হলে রবিউলকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। চলে দেন-দরবার। একপর্যায়ে পরিবার দাবিকৃত টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে রবিউলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় রবিউলের পিতা আবদুল মালেক শেখ সুজানগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ মুঠোফোনের সূত্র ধরে অনুসন্ধান শুরু করে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রবিউলের বন্ধু একই গ্রামের মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল তার বেডরুমের মেঝের মাটি খুঁড়ে রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রবিউলের ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইকে বিনা কারণে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছিল। আমরা হত্যকারী মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রবিউল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের হাতে তেমন কোনো ক্লু ছিল না। তবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মামুনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা রবিউলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।