শিরোনাম
শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অনেকেই নির্যাতিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অনেকেই নির্যাতিত

অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত বলেছেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে  এখন অনেকেই নির্যাতন-বঞ্চনার শিকার। অপেক্ষাকৃত দুর্বলরা আরও বেশি শিকার হচ্ছে। এ পরিস্থিতি পাল্টাতে হবে। গতকাল বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)-এর এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব মানবাধিকার বনাম বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ১১টি ঘটনার বিশ্লেষণ করে এতে বলা হয়— সংখ্যালঘু হামলার ঘটনা বাড়ছে। তবে নীরব থাকছে প্রশাসন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও উচ্ছেদের একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলা হয়,  রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজ স্বার্থের জন্য হামলা, হত্যা ও নির্যাতন করেছেন। প্রশাসন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই নীরব ভূমিকা পালন করে। এসব ঘটনার বিচার না হওয়ার কারণে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে ও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, গত পাঁচ দশকে আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বী দেশান্তরিত হয়েছেন। সে হিসেবে গড়ে বছরে দেশ ছেড়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ৬১২ জন। এ ছাড়া বলেন, দেশে ৫০টিরও বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ‘আদিবাসী’ পরিচয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতি মেলেনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর