মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সুস্থ শেয়ারবাজার গড়তে পারিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুস্থ শেয়ারবাজার গড়তে পারিনি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেছেন, আমরা সুস্থ শেয়ারবাজার গড়তে পারিনি। এখানে অংশীজনরা শেয়ারবাজারের মূল সমস্যা। এরাই ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে পতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গতকাল রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে আয়োজিত শিল্পায়নে আইপিওর গুরুত্ব শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনলাইন বিজনেস পোর্টাল বিজনেসআওয়ার২৪.কম এ সেমিনারের আয়োজন করে। ওমেরা ফুয়েলস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন সান্নামাতের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা এ বি আজিজুল ইসলাম, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ ও আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাংবাদিক রাজু আহমেদ। ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘যারা শেয়ারবাজারে কারসাজি করে তাদেরকে খুঁজে পাওয়ার পরও বিচার করা যায় না। অনেক সময় এ কারসাজিকারীরা রাষ্ট্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। তাদের কিছুই করা যায় না। দুই বড় ধরনের কারসাজি হওয়ার পরে সেই হোতাদের কোনো বিচার হয়নি।’ তিনি বলেন, দেশের স্টক এক্সচেঞ্জে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণ) যথাযথ হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এতো সহজ না। এতটা সহজ হলে তো হতোই। বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে ৪০ শতাংশ অংশীজন রেখে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হয়নি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিউচ্যুয়ালাইজড করা হয়েছে। ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ১০০টি কোম্পানি আইপিওতে আবেদন করেও একটির অনুমোদন না পাওয়া দুঃখজনক। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজার থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ করা সময়সাপেক্ষ। আগে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি ছাড়াই খ্যাতনামা কোম্পানি ভালো প্রিমিয়ামে টাকা উত্তোলন করতে পেরেছে। ওই সময় সহজেই টাকা সংগ্রহ করা গেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে বড় অন্তরায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ স্থগিত। এই কারণে গত ৮ বছরে দেশে জিডিপির আনুপাতিক হার মাত্র ১ শতাংশ বেড়েছে। এর পেছনে জমির সমস্যা, অবকাঠামোগত সমস্যা, গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা, সুশাসনের সমস্যা, দক্ষ জনশক্তির অভাবসহ বিভিন্ন বাধা রয়েছে। যদি এসব সমস্যা অনেকাংশে লাঘব না হয় এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ না বাড়ে তবে শেয়ারবাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা প্রত্যাশা করা যায় না।

সর্বশেষ খবর