শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুর্নীতি কমেছে বাংলাদেশে

সূচকে দুই ধাপ অগ্রগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি কমেছে বাংলাদেশে

দুর্নীতি ধারণা সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে ১৪৩ অবস্থানে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে অবস্থান ছিল ১৪৫। ১৮০টি দেশের মধ্যে ২৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ এ অবস্থান নিশ্চিত করেছে। গতকাল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সূচক প্রকাশ করা হয়। ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ তথ্য উপস্থাপন করেন। সূচকে বিশ্বে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড সর্বনিম্ন সোমালিয়া। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান এবং টিআইবির নির্বাহী ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে এ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এবার রেকর্ড পরিমাণ অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরে রয়েছে আফগানিস্তান। এশিয়া প্যাসিফিকের ৩১টি দেশের মধ্যে চতুর্থ সর্বনিম্ন বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতি সবচেয়ে কম ভুটানে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের ৬৯ শতাংশ দেশ ৫০ ভাগের কম স্কোর পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ৮টি সংস্থার তুলনামূলক প্রতিবেদন নিয়ে এ সূচক তৈরি করা হয়। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সেবা খাতের ডিজিটালাইজেশনে দুর্নীতি প্রতিরোধে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, ব্যাংকিং খাতের ঋণ জালিয়াতি, সরকারি ক্রয় নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক একচ্ছত্র অধিকারের কারণে দুর্নীতির তুলনামূলক অগ্রগতি কম। তবে দুর্নীতিতে টানা পাঁচবার সর্বনিম্ন অবস্থানের তুলনায় এ অবস্থান সন্তোষজনক। তিনি আরও বলেন, দুদকের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক আছে। সংকুচিত হচ্ছে গণমাধ্যমের কাজের জায়গা। ৫৭ ধারাকে ঘুরিয়ে ৩২ ধারায় আনলে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব নয়। বেগম খালেদা জিয়ার রায় বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একজন ব্যক্তির বিচার দুর্নীতি প্রতিরোধের মানদণ্ড হতে পারে না। এখনো অনেকেই বিচারের আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। বিদেশে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি সূচকে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর