শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদার শাস্তি মেনে নিতে পারেনি দেশের মানুষ

মাহমুদ আজহার

খালেদার শাস্তি মেনে নিতে পারেনি দেশের মানুষ

অলি আহমদ, বীরবিক্রম

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। জাতিধর্ম-দলমতনির্বিশেষে দেশবাসী সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীকে এ ধরনের শাস্তি দেওয়াটা মেনে নিতে পারেনি। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও এ ধরনের শাস্তি প্রাপ্য ছিল না। অলি আহমদ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অন্যায়ভাবে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বেগম জিয়া বা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমন করা সম্ভব নয়। কারণ, বাংলাদেশের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষই জাতীয়তাবাদী পক্ষের লোক। এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সরকার পরাজয়ের ভয়ে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিচ্ছে। তারা বেগম জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য করতে চায়। জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে চায়। কিন্তু এ দেশের ৭০ ভাগ মানুষের সমর্থন জিয়া পরিবারের প্রতি। তিনি বলেন, দেশের লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। লোপাট হচ্ছে হাজার কোটি টাকা। হলমার্ক, ডেসটিনি ও শেয়ার মার্কেটের টাকা আজ কোথায়? পত্রপত্রিকায় অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারে থাকলে সাত খুন মাফ, বিরোধী দলে থাকলে মহাপাপ! প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসনের স্বার্থে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। যে কোনো মূল্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ চেতনা লুটপাট নয়, গণতন্ত্র ধ্বংস করা নয়। জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য ২০ দলের কঠোর কোনো কর্মসূচি আছে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বিএনপির পক্ষ থেকে বেশকিছু কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ২০-দলীয় জোটও এতে অংশ নিয়েছে। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক। দেশের ক্ষতি হোক, জনগণ অশান্তিতে থাকুক, জানমালের কোনো ক্ষতি হোক— এ ধরনের কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। বেগম জিয়া জেল থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। অলি আহমদ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলোয় আমরা শুধু সমর্থনই দিইনি, অংশও নেব। সরকার এখন বিএনপিতে কিংবা জোটে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু এতে খুব একটা লাভ হবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দেশের সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল। ৭০ ভাগ লোকের সমর্থন নিয়ে এ দল টিকে আছে। বিগত ১০ বছরেও সরকার পারেনি, আমার মনে হয় না ভবিষ্যতেও পারবে। বিএনপি-প্রধানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে জোট নির্বাচনে যাবে কিনা— এমন প্রশ্নে কর্নেল অলি বলেন, আগামী নির্বাচন কিংবা আন্দোলন সবকিছুই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। আগামীতে কী হবে তা এখনো মন্তব্যের সময় আসেনি। এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এর আগে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা। বর্তমানে যে সমস্যা রয়েছে, তাই নিয়ে ভাবছি।

সর্বশেষ খবর