শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

এখনো শঙ্কায় দুই আহত

ময়নাতদন্ত শেষ, এবার শনাক্ত প্রক্রিয়া

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। যাদের শনাক্ত করা যাবে, তাদের মরদেহ আগামী মঙ্গলবার নাগাদ হস্তান্তর করা হতে পারে। এ ছাড়া আহত ৫ জনের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ২ জন। তারা হলেন, এমরানা কবীর হাসী ও শেখ রাশেদ রুবায়েত। তারা কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০২/৫০৩ (আইসিইউ) কেবিনে রয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে যাদের শনাক্ত যাবে তাদের মরদেহ আগামী সোমবার নাগাদ হস্তান্ত করা হবে জানিয়েছেন ডা. সোহেল মাহমুদ। গতকাল দুপুরে দূতাবাসে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া চিকিত্সক প্রতিনিধি দলের এই সদস্য। ব্রিফিংয়ে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, যেসব মরদেহ শনাক্ত করা যাবে, সেগুলোর হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। আজ বাংলাদেশে সরকারি ছুটি রয়েছে। ফলে এদিন তেমন কোনো কাজ হবে না। তবে আমরা আশাবাদী, রবিবার বা সোমবার নাগাদ শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। ডা. সোহেল আরও বলেন, তাদের (নেপাল কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা যেটুকু বুঝতে পারছি, শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তরের সম্ভাব্য দিন রবি বা সোমবার। ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া চিকিৎসক দলের সদস্যরা ছাড়াও নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রবি বা সোমবারের মধ্যে তারা শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তরের চেষ্টা করবেন।

তবে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া মঙ্গলবারেও গড়াতে পারে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধরে রাখুন মঙ্গলবার হস্তান্তর করা যাবে মরদেহগুলো। তবে আবারও বলছি, আমরা চেষ্টা করব। এটা ওইভাবে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।’

 

নেপালের হাসপাতালে মোট লাশ ৪৯

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। সব মরদেহ রাখা হয়েছে ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালে। গতকাল বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলে আছেন তিনি। ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, নিহত ৪৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো কোনো লাশ শনাক্ত হয়নি। তার ভাষ্য, ‘আগামীকাল (শনিবার) থেকে আমরা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু করব।’ বাংলাদেশের এই চিকিৎসকের আশা, আগামী ১৮ মার্চ বা ১৯ মার্চ শনাক্তকরণের পর মরদেহগুলো হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। নেপাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ-মুহূর্তে পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন ওই ফ্লাইটে। এর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর