বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

খনন হবে রাজধানীর পাঁচ খাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ৪১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩ হাজার ৪০০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ১০টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পের  মোট ব্যয় সরকারি অর্থায়ন করা হবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় হবে ১৪  কোটি ৯৩ লাখ টাকা।  পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেকের অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ‘মাওনা-ফুলবাড়িয়া-কালিয়াকৈর-ধামরাই-নবীনগর (ঢুলিভিটা) মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ’ প্রকল্প একটি। মাওনা-ফুলবাড়িয়া-কালিয়াকৈর-ধামরাই-নবীনগর (ঢুলিভিটা) মহাসড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক। এটি গাজীপুর জেলা ও মানিকগঞ্জ জেলার শিল্পাঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে। মহাসড়কটি জয়দেবপুর-মাওনা-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়কের ২৮তম কিলোমিটারে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা নামক স্থান থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-আরিচা জাতীয় মহাসড়কের ২৮তম কিলোমিটারে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার অন্তর্গত ঢুলিভিটা নামক স্থানে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, ঢাকা এলাকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে মহাসড়কটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এই মহাসড়কটি ব্যবহার করে বেশ কিছু এলাকার বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য খুব সহজেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয় যা দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। মহাসড়কটির বর্তমান অবস্থা এবং ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক ভলিউমের কারণে মহাসড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়ক মানে উন্নীত করতে মেরামতসহ প্রশস্ত করা জরুরি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার সঙ্গে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। 

‘হাজারীবাগ, বাইশটেকী, কুর্মিটোলা, মান্ডা ও বেগুনবাড়ী খালে ভূমি অধিগ্রহণ এবং খনন বা পুনঃখনন’ প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতা কমাতে বিদ্যমান খালের পাশাপাশি নতুন খাল খননের উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা ওয়াসা। এ জন্য এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৬০৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির সময় পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রেখে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূর করার পাশাপাশি নগরবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বসবাস নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সোয়া এক কিলোমিটার বাইশটেকী খালটি ৪০ মিটার প্রশস্ত করা হবে। এ ছাড়া ১৮০ মিটারের সাংবাদিক কলোনির খালটি ৩০ মিটার প্রশস্ত করা হবে। অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো— স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন, গোপালগঞ্জ প্রকল্প; মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ’ প্রকল্প; মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন’ প্রকল্প; তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প; বিদ্যুৎ বিভাগের ‘আশুগঞ্জ ১৩২ কেভি পুরাতন এআইএস উপকেন্দ্রকে ১৩২ কেভি নতুন জিআইএস উপকেন্দ্র দ্বারা প্রতিস্থাপন’ প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঢাকাস্থ ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)-কে শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘বরগুনা জেলার উপকূলীয় পোল্ডারসমূহে সেচকাজের জন্য খাল পুনঃখনন’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘এলেঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪) প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প।

সর্বশেষ খবর