বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

মা-ছেলের শরীরে ১০৮ ছুরিকাঘাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে খুন হওয়া মা রোকেয়া বেগম ও ছেলে রবিউল ইসলাম রোকনের শরীরে পাওয়া গেছে ছুরিকাঘাতের শতাধিক চিহ্ন। লাশের সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষায় এসব আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়েছে। ঘাতকদের এমন নৃশংসতায় খোদ পুলিশ কর্মকর্তারাই আঁতকে উঠেছেন। এদিকে, তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মা-ছেলের খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রোকেয়া বেগমের চার বছরের মেয়ে রাইসা মানসিকভাবে আঘাতের মধ্যে থাকায় তার কাছ থেকেও খুব বেশি তথ্য নিতে পারছে না পুলিশ।

আলোচিত এই জোড়া খুনের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মা ও ছেলে দুজনের শরীরে ১০৮টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। রোকেয়া বেগমের শরীরে ৭৬ ও রোকনের শরীরে ৩২টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রোকেয়ার পেটে ২১, পিঠে ৩৫, ঊরুর পেছন দিকে ১১টি ছুরিকাঘাত ছাড়াও গলা, ঊরু, দুই হাত, মাথার পেছন দিকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া রোকনের পেটে ১৫, দুই হাতে ১৬, বুকের বাঁ পাশে ৪টি ছাড়াও গলা, পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। পুলিশের ধারণা, ছুরিকাঘাতের ফলেই রোকেয়া বেগম ও রোকনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। প্রবল আক্রোশে তাদের ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ঘাতকরা শিশু রাইসাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। সেজন্য তার গলা চেপে ধরা হয়েছিল। এতে রাইসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে ফেলে যায় ঘাতকরা। রাইসার গলা থেকে ঘাতকদের আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করেছে পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মা ও ছেলের শরীরে ছুরিকাঘাতের শতাধিক চিহ্ন মিলেছে। ভয়ঙ্কর আক্রোশ নিয়ে তাদের ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) হুসনে আরা বলেন, রাইসা ভয়ের মধ্যে রয়েছে। তার জবানবন্দি নেওয়া যাচ্ছে না। থানার ওসি গৌছুল হোসেন বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার সিলেট নগরের খাঁরপাড়া মিতালি ১৫/জি নম্বর তিন তলা বাসার নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে বিউটিশিয়ান রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রোকনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় বাসার ভিতর থেকে আহতাবস্থায় রোকেয়া বেগমের চার বছরের মেয়ে রাইসাকে উদ্ধার করা হয়।

সর্বশেষ খবর