শিরোনাম
শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

জেগেছে প্রাণ নববর্ষে

মাহমুদ হাসান

জেগেছে প্রাণ নববর্ষে

এসেছে বাঙালির নববর্ষ। আজ পয়লা বৈশাখে শুভযাত্রা শুরু করল স্বপ্নময় নতুন বছর। শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। চির নতুনকে আহ্বান জানাতে বছর ঘুরে বারবার ফিরে আসে পয়লা বৈশাখ। আজকের দিনটা সারা বছরের অন্য দিনগুলোর চেয়ে অন্যরকম, আরও বেশি কিছু। বিশেষ করে নতুন বছরের প্রথম সকালটা, ঠিক অষ্টাদশী সুশ্রী মুখের হাসির মতো। বাংলা নববর্ষ বরণ করতে নারীরা নিজেকে আরও সুন্দর করে সাজান। তাদের কালো খোঁপায় ঝোলে শুভ্র সাদা বেলিফুলের মালা, চঞ্চলা হাতের মুঠোয় মাথা দোলায় রজনীগন্ধা। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ, সবার রঙিন কাপড়ে মনেতেও লাগে রঙ। বর্ণিল উৎসবে প্রাণে প্রাণে বাজে নবআনন্দ। প্রত্যাশার আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে চারদিক। আজ সেই দিন, স্বাগত ১৪২৫, শুভ নববর্ষ।

রাজধানী ঢাকায় পাহাড় নেই, অরণ্য নেই, সমুদ্র নেই, আছে নদী; তাও হতশ্রী, আর আছে বর্ণিল বৈশাখ, প্রাণের পয়লা বৈশাখ। এ শহরে এমন নাগরিকও আছেন বছরে একদিন সূর্য ওঠা দেখেন, সেটা পয়লা বৈশাখের সূর্য। পয়লা বৈশাখের প্রথম সকালটা অন্যরকম। বছরের প্রথম সূর্যালোকে ধর্ম-বর্ণ, মত-পথ নির্বিশেষে সর্বজনীন আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সুন্দর ও কল্যাণের জয়গানে স্বাগত জানানো হয় নতুন বঙ্গাব্দকে। আর কামনা করা হয়, নতুন বছরে ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা’। প্রাণে প্রাণে লাগুক শুভকল্যাণের দোলা।

পয়লা বৈশাখ বাংলাদেশের চিরন্তন উৎসব, বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। পয়লা বৈশাখ আমাদের আপন শিকড়ের প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার দিন, বাঙালির প্রাণের উৎসবের দিন। আবহমান লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যে বর্ষবরণ উৎসবে মেতে ওঠে শহর-গ্রাম-নগর-বন্দর। রাজধানীতে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান রমনা বটমূল ছাড়িয়ে এখন ছড়িয়ে পড়েছে নগরজুড়ে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ঢাকা পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। বর্ষবরণের আনন্দ-উৎসবে মুখরিত থাকে সমগ্র দেশ।

ঢাকায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ সূর্যোদয়ের সময় রমনা বটমূলে ছায়ানটের, শাহবাগে ঋষিজের এবং শেরেবাংলানগরে সুরের ধারার শিল্পীদের বৃন্দসংগীত— ‘এসো, এসো হে বৈশাখ...’ ‘হে নূতন, এসো তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি...’। এ ছাড়া শাহবাগে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা। পুরান ঢাকায় হালখাতা, ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর, বসুন্ধরা, উত্তরা, বনশ্রী, বনানী ও গুলশানসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৈশাখী মেলায় ঢাকা পরিণত হয় আনন্দ নগরীতে। বাংলা নববর্ষ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে খই-মুড়ি-মুড়কি-বাতাসা মিষ্টান্নের পাশাপাশি হরেক রকম বাংলা খাবার। বাঙালি ভূরিভোজের জন্য উপলক্ষ খোঁজে। আর পয়লা বৈশাখ এরকমই একটা উপলক্ষ। আজ ঘরে ঘরে তিনবেলা হরেক রকম খাবারের আয়োজন তো থাকবেই। সেই সঙ্গে খাদ্যরসিকদের মিলনমেলায় পরিণত হবে নগরীর বড় হোটেল থেকে বনেদি রেস্তোরাঁ, নগরময় গড়ে ওঠা হালফ্যাশনের ফুডকোর্টগুলো। চায়নিজ রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড শপে থাইস্যুপ-চাউমিনের বদলে আজ মিলবে পান্তা-ইলিশ, গজাল মাছের শুঁটকি আর চিতল মাছের কোপ্তা। আজকের দিনটিতে কেউ ডায়েট, ডায়াবেটিস আর ব্লাড প্রেশারের তোয়াক্কা করে না।

পয়লা বৈশাখ, এই একটা সর্বজনীন উৎসব, যেখানে দেশের সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ এক হয়ে একসঙ্গে উদযাপন করে। বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক ও হালখাতার একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেকালে গ্রামবাংলায় নিভৃত পল্লীর অশ্বত্থ তলে নদীতীরে বসত বৈশাখী মেলা। শহরে-গঞ্জে হালখাতা হতো ছোট-বড় প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। মিষ্টান্ন ছিল নববর্ষের অনুষঙ্গ। সারা দেশে আয়োজন করা হতো চৈত্র সংক্রান্তির পালা-পার্বণ, নাগরদোলা, লাঠিখেলা, নৌকাবাইচ, কুস্তি, গান-বাজনা, খেলাধুলা, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি। এখন দিনবদলের পালায় নগর জীবনে বাংলা নববর্ষ পালন করা হয় নাগরিক আয়োজনে। সারা দেশে মঙ্গলসংগীত ও শোভাযাত্রা, হালখাতা, মিষ্টিমুখ, নতুন কাপড়, ভূরিভোজ, বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি পয়লা বৈশাখকে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত করলেও এখন এটা অনেকটা বার্ষিক আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। এখন শহরে-নগরে-পল্লীতে বাংলা নববর্ষ আসে সাড়ম্বরে। কিন্তু পয়লা ফাল্গুন, পয়লা অগ্রহায়ণের মতো দু-একটা দিন-তারিখ ছাড়া সারা বছর বাংলা সনের মাস-তারিখের তেমন একটা খোঁজ রাখা হয় না। অবশ্য পল্লীগ্রামে কৃষিকাজে বঙ্গাব্দের গুরুত্ব এখনো অপরিসীম। নিত্যজীবনে বছরজুড়ে খ্রিস্টীয় বর্ষ অনুসরণ করা হলেও বঙ্গাব্দের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ তবু আমাদের কাছে সম্পূর্ণ আলাদা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ প্রমুখ পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজ শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও নববর্ষ উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

পয়লা বৈশাখের কর্মসূচি

ছায়ানট :বাঁশিতে ভোরের রাগালাপে এবার বাংলা নববর্ষ বরণ করবে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ এর প্রথম প্রহরে সকাল সোয়া ৬টায় বাঁশিতে ভোরের রাগালাপ দিয়ে শুরু হবে বর্ষবরণের এই প্রভাতি আয়োজন। ১৬টি একক গান, ১২টি সম্মেলক গান, ২টি আবৃত্তি এবং সর্বশেষ  ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুনের নতুন বছরের আবাহনী কথন দিয়ে শেষ হবে এ বছরের অনুষ্ঠান। এরপর থাকবে একক গান, সম্মেলক গান ও আবৃত্তি। প্রভাতি এ আয়োজন দেড়শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। ছায়ানটের বর্ষবরণের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান’। সকাল সোয়া ৬টায় শুরু হয়ে সোয়া দুই ঘণ্টার এ আয়োজন শেষ হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

ছায়ানটের শিল্পী-কর্মীদের জন্য বটমূল সংলগ্ন সামান্য জায়গা ছাড়া পুরো অঙ্গনই থাকছে সবার জন্য উন্মুক্ত। বর্ষবরণের আয়োজনে সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষণিক সহায়তা দেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। পুরো অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল hhtp://bit.ly/chyntbd-তে। এ ছাড়া ইউটিউবে live:chayanaut,borshoboron 1425 অনুসন্ধান করেও এ আয়োজন দেখা যাবে। এতে সংগীত পরিবেশন করবেন ছায়ানটের শিল্পীরা।

চারুকলার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ : নববর্ষ বরণে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। সকাল সাড়ে ৮টায় চারুকলা অনুষদে ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ প্রতিপাদ্যে এই শোভাযাত্রা উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান। পাঁচ শতাধিক শিল্পকর্ম নিয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে বের হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (সাবেক রূপসী বাংলা) হয়ে পুনরায় চারুকলায় এসে শেষ হবে।

শিল্পকলা একাডেমি : বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক আয়োজন। মিরপুর সাংস্কৃতিক ফোরামের সহযোগিতায় সকাল ৭টায় মিরপুর এবং উত্তরা কালচারাল সোসাইটির সহযোগিতায় সকাল ৯টায় উত্তরার রবীন্দ্র সরণি বটতলায় অনুষ্ঠিত হবে বর্ষবরণের আয়োজন। এরপর বিকাল ৩টায় বাহাদুর শাহ পার্ক এবং সাড়ে ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এরপর বিকাল ৫টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ পর্বটি সাজানো হয়েছে নাচ, গান ও আবৃত্তি দিয়ে।

চ্যানেল আই-সুরের ধারা : নতুন বছরকে গ্রহণ করে নিতে আজ পয়লা বৈশাখের প্রভাতের প্রথম প্রহরে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে সারা দেশ থেকে নির্বাচিত হাজারো শিল্পীর কণ্ঠে পরিবেশিত হবে বর্ষবরণের গান। অনুষ্ঠানে সংগীত, নাটক ও আলোচনায় অংশ নেবেন বাংলাদেশ ও কলকাতা থেকে আসা বিশিষ্টজনরা। অনুষ্ঠানস্থলে থাকবে বাঙালির হাজার বছরের বিভিন্ন ঐতিহ্যের উপাদান দিয়ে সাজানো বৈশাখী মেলার হরেকরকম স্টল। স্টলগুলোতে শোভা পাবে পিঠা-পুলি, মাটির তৈরি তৈজস, বেত, কাঁথা, পিতল, পাট-পাটজাত দ্রব্যের জিনিসপত্রসহ রকমারি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ নানান পণ্যসামগ্রী।

উৎসব চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট : সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সম্মিলিত পয়লা বৈশাখের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলবে।

এতে দলীয় সংগীত পরিবেশন করবে বহ্নিশিখা ও স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র। একক সংগীত পরিবেশন করবেন মহাদেব ঘোষ, শারমিন সাথী ময়না, আরিফ রহমান, আবিদা রহমান সেতু, সানজিদা মঞ্জুরুল হ্যাপি, শ্রাবণী গুহ রায়, দিল আফরোজ রেবা, আকরামুল ইসলাম, কানন বালা সরকার, শান্তা সরকার, সমীর বাউল, রঞ্জিত বাউল, মমতা দাসী, বাউল দেলোয়ার, সনিয়া বাউল, শফিউল আলম রাজা প্রমুখ। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। একক আবৃত্তি পরিবেশন করবেন গোলাম সারোয়ার, রেজীনা ওয়ালী লীনা, ঝর্ণা সরকার ও আশরাফুল হাসান বাবু। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে নাচের দল নৃত্যম ও নৃত্যজন।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর : সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বাংলা নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান।

এতে নৃত্য পরিবেশন করবে নৃত্যজন ও সংগীতাঙ্গন মনিপুর। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে কল্পরেখা, ইউসেপ স্কুল, আগারগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও বধ্যভূমির সন্তানদল এবং বাউল গান পরিবেশন করবেন রঞ্জিত দাস বাউল ও মমতা দাসী।

বাংলা একাডেমি : বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। সকাল সাড়ে ৭টায় একাডেমির রবীন্দ্র-চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে বর্ষবরণের এই আয়োজন। এতে নববর্ষ বক্তৃতা প্রদান করবেন প্রাবন্ধিক-গবেষক আবুল মোমেন। স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করবেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক।

বক্তৃতা পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা। এ ছাড়া সকাল ১০টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে দশ দিনের বইয়ের আড়ং। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই আড়ং খোলা থাকবে। ১০ বৈশাখ শেষ হবে এই বইয়ের আড়ং।

বাংলা একাডেমি ও বিসিক : বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর যৌথ আয়োজনে আজ শুরু হচ্ছে দশ দিনের বৈশাখী মেলা। বিকাল ৪টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে এই মেলা উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। সভাপতিত্ব করবেন বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। প্র্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১০ বৈশাখ শেষ হবে দশ দিনের এই বৈশাখী মেলা।

বেঙ্গল ফাউন্ডেশন : নববর্ষ উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে থাকছে ‘পরান ভরি দাও’ গানের আসর। লালমাটিয়ার বেঙ্গল বইঘরের এই অনুষ্ঠানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবে পথিক বাউলের বাঁশি ও গান।

ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী : বর্ণাঢ্য আয়োজনে নববর্ষ ১৪২৫ উদযাপন করবে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী। সকাল ১০টায় শিশুপার্কের নারিকেল বিথী চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর