নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকাসহ সারা দেশে সংগঠনকে শক্তিশালী ও দলীয় প্রচারণায় সভা-সমাবেশ, মতবিনিময় এবং কর্মিসভা করা হচ্ছে। ভোটারদের কাছে সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণা চালাবেন নেতারা। এ ছাড়া কমিটি করে জেলায় জেলায় পুস্তিকা এবং লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নির্দেশে সহযোগী সংগঠনের নেতারা সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদকে দলের সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের লড়াই। এ নির্বাচনে যে কোনো মূল্যে বিজয়ী হতে চান তারা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগ আর ভুল করতে চায় না। ফিরে যেতে চায় না অন্ধকারে। সে কারণে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিজয় অর্জনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবে। আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যুবলীগ কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে। যুবজাগরণ গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য সংবলিত পুস্তিকা এবং লিফলেট ঢাকাসহ সারা দেশে ভোটারদের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে। জানা গেছে, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তরসহ বিভাগীয় শহর এবং জেলা পর্যায়ে প্রতিটি থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং ইউনিট পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠন এবং সুসংগঠিত করছে। অধিকাংশ স্থানে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। বাকি কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজ চলমান রয়েছে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং ইউনিট পর্যায়ে গণসংযোগ চালানো হচ্ছে। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। সূত্র মতে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীরা পৃথক কমিটি করে সারা দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের সচেতন করা হচ্ছে। এ ছাড়া কমিটি করে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী এবং গতিশীল করা হয়েছে। যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যুব মহিলা লীগ সারা দেশে ৪০টি টিম করে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে। প্রতিটি টিম দুটি জেলার উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, কর্মিসভা এবং মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য ভোটারদের কাছে তুলে ধরছে। সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ভোটারদের নজর কাড়তে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে জেলা সফর, জনসভার কর্মসূচি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে যাবেন দলের শীর্ষনেতারা। কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা বলেছেন, তার সংগঠন আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে নেমেছে। সারা দেশে কর্মিসভা এবং মতবিনিময়ের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সরকারের সাফল্য ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করা হয়েছে।