বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতিতে ভালোবাসার কোনো স্থান নেই। রাজনীতি হচ্ছে হিসাবের অঙ্ক। হিসাবের অঙ্কে এখানে করুণা করা ভালোবাসা দেওয়া বা প্রেম করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রয়োজন দেখছি না। গতবার তারা সেই ট্রেন মিস করেছে। ওবায়দুল কাদের তার দলের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন প্রস্তুতির ওপর গতকাল সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। বিএনপির নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষতা বলতে তারা কী বোঝাতে চাইছে। কারা নিরপেক্ষ? নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বিএনপির কাছে আমি জানতে চাই। কেমন নিরপেক্ষতা, বিএনপির নিরপেক্ষ হলো তাদের দলের লোকজন। আর বাকি সবাই হচ্ছে পক্ষপাতদুষ্ট। তিনি বলেন, তাদের কোন কথা সঠিক। তারা একদিকে বলে নির্বাচনে যাবে, আরেকদিকে বলে আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা আসলে কোনটা চায়? তাদের কোনো বিষয়ই পরিষ্কার নয়। সংলাপ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন। খালেদা জিয়ার প্রত্যাখ্যানের ভাষাটা এখনো কানে বাজে। কী অশালীন অশ্রাব্য ভাষা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এটা ভাবতেও লজ্জা হয়। সেদিন তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা সংলাপ চান না। এখন সংলাপ চাইছেন কিন্তু এখন তো সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার সাংবিধানিক অরবিটের মধ্যে থেকে সরকার হিসেবে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আগামী নির্বাচনের আগে বিরোধীদের নির্বাচন বানচালের কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা আছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আশঙ্কা তো থাকবেই। তবে এবার আমরা খুব কনফিডেন্ট। এবার গতবারের মতো জ্বালাও-পোড়াও করে কেউ পার পাবে না।

আবারও বলছি কেউ যদি ২০০১ সালের মতো রঙিন খোয়াব দেখে থাকেন তা আর সফল হবে না।

দলের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। কারণ মাত্র তিন দিনের ঘোষণা দিয়ে শনিবার গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভা করা হচ্ছে। একটি জেলার বর্ধিত সভা করতেই প্রায় এক মাস সময় লাগে। অথচ আমরা সবচেয়ে বড় বর্ধিত সভা করতে যাচ্ছি। আজকের (শনিবার) বিশেষ বর্ধিত সভা থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি এবং দিকনির্দেশনা দেবেন বলেও জানান কাদের।