সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

জরিপে তিন সিটিতে আওয়ামী লীগ জয়ী

নিজস্ব প্রতিবদেক

জরিপে তিন সিটিতে আওয়ামী লীগ জয়ী

বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এর মধ্যে বরিশাল ও রাজশাহী আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে জয় পাবেন এবং সিলেটে সামান্য ব্যবধানে দলের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। গতকাল এক জনমত জরিপের ফল তুলে ধরে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান জয়। জরিপটি করেছে স্বতন্ত্র গবেষণা সংগঠন রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্র দখল করে বিএনপি আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপাতে যেন না পারে সে ব্যাপারে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সজীব ওয়াজেদ জয় উল্লেখ করেন, ‘বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আমার টিম তিনটি জনমত জরিপ চালিয়েছে। জুলাই মাসজুড়ে এই জরিপ চালানো হয়। এটি পরিচালনা করেছে স্বতন্ত্র গবেষণা সংগঠন রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)। জরিপের ফল এখানে দেওয়া হলো : বরিশাল : সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ (আওয়ামী লীগ) : ৪৪ শতাংশ, মজিবর রহমান সরোয়ার (বিএনপি) : ১৩.১ শতাংশ, অন্য প্রার্থী : ০.৮ শতাংশ, সিদ্ধান্তহীন : ২৩.৫ শতাংশ, জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে : ১৫.৯ শতাংশ, জরিপে অংশ নিয়েছিলেন ১ হাজার ২৪১ জন নিবন্ধিত ভোটার। রাজশাহী : খায়রুজ্জামান লিটন (আওয়ামী লীগ) : ৫৮ শতাংশ, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল (বিএনপি) : ১৬.৪ শতাংশ, অন্য প্রার্থী : ০.৯ শতাংশ, সিদ্ধান্তহীন : ১২.৩ শতাংশ, জবাব দিতে অস্বীকৃতি : ৯.৬ শতাংশ, জরিপে অংশ নিয়েছিলেন ১ হাজার ২৯৪ জন নিবন্ধিত ভোটার। সিলেট : বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (আওয়ামী লীগ) : ৩৩ শতাংশ, আরিফুল হক চৌধুরী (বিএনপি) : ২৮.১ শতাংশ, অন্য প্রার্থী : ১.৩ শতাংশ, সিদ্ধান্তহীন : ২৩ শতাংশ, জরিপে অংশ নিয়েছিলেন ১ হাজার ১৯৬ জন নিবন্ধিত ভোটার।’ বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট শহরের ২০১১ সালের আদম শুমারির বয়স বিভাজন এবং সিটি করপোরেশনগুলোর ভোটার তালিকার ভিত্তিতে জরিপ পরিচালনা করা হয়। ভোটার নিবন্ধনের তালিকায় থাকা ঠিকানা ধরে জরিপের অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়। এই তিন সিটি করপোরেশনে যাদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে, তাদেরই শুধু জরিপে প্রশ্ন করা হয়েছে। এই জরিপের ‘মার্জিন অব এরর’ হতে পারে প্রায় +/- ২.৫%।

স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরে আমাদের জনমত জরিপ আরডিসিকে দিয়ে পরিচালনা করছি। আমাদের কাছে তাদের পদ্ধতি ও ফল সবচেয়ে সঠিক মনে হয়েছে। অবশ্যই, গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চূড়ান্ত ছিল। জনমত জরিপের ফল হয়তো সামান্য এদিক-সেদিক হতে পারে। কারণ মাসজুড়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবু আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে জয় পাবেন। সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সামান্য এগিয়ে আছেন, জয়ী হবেনই এখনই বলা মুশকিল। বিএনপি নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করেই চলেছে। কিন্তু ঘটনা হলো, তারা জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। বিপরীতে আওয়ামী লীগ গত কয়েক বছরে আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আওয়ামী লীগের জন্য বিএনপি এখন আর কোনো নির্বাচনী হুমকি নয়। বিএনপির পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাই করে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দায় চাপানোর বিষয়ে আমি দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলব। এ বিষয়ে আপনারা এবারের গাজীপুর নির্বাচনে বিএনপি নেতাদের কথোপকথন শুনেছেন। প্রচারণার সময় ভোটারের সঙ্গে যখন কথা বলেছেন, তারা বুঝতে পেরেছেন তাদের জয়ের কোনো সুযোগ নেই। ফলে তারা এখন নির্বাচনী বিতর্ক তৈরি করতে আওয়ামী লীগকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবে।’

সর্বশেষ খবর