শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
মুষড়ে পড়েছেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা

কারাগারে সময় কাটছে যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক ও গাজীপুর প্রতিনিধি

কারাগারে সময় কাটছে যেভাবে

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা মুষড়ে পড়েছেন। আদালতের রায়ের কপি বুধবার রাতে পৌঁছানোর কারণে গতকাল সকালে তাদের কয়েদির পোশাক পরানো হয়েছে। তবে আগে থেকে আটজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার কারণে তারা কনডেম সেলেই ছিলেন। তাদের মধ্যে সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু বেশি ভেঙে পড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্র।  জানা গেছে, আবদুস সালাম পিন্টুকে গতকালই কাশিমপুর-২ এর কনডেম সেলে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। কনডেম সেলে নেওয়ার পর থেকেই তিনি বিমর্ষ অবস্থায় ছিলেন। কারও সঙ্গে তিনি কোনো কথা বলেননি। সকালের নাস্তাও করেননি। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার পর ২১ আগস্ট হামলা মামলায় আবারও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের আগের সেলেই রাখা হয়েছে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ ও ২ এর (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের কপি বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে গতকাল ভোরে তাদের কয়েদি পোশাক পরানো হয়। বন্দীদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ রয়েছেন। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তিনি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তিনি আগেই কয়েদির পোশাকে ছিলেন।

তিনি আরও জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ আছেন সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৩ আসামি। এর মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজন ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সাতজন আসামি। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের পৃথকভাবে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের সবাইকেই ভোরে কয়েদি পোশাক পরানো হয়েছে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় এই কারাগারে মোট ১৭ জন বন্দী রয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং চারজন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রমনা বটমূলে হত্যাকাণ্ড মামলায় হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি)-এর শীর্ষ নেতা মাওলানা আবুবক্কর, ইয়াহিয়া ও শেখ ফরিদ আগেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। তবে নতুন করে আরও ১০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন তারা।

সর্বশেষ খবর