মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মিয়ানমারের মাদক ষড়যন্ত্রের শিকার বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমারের মাদক ষড়যন্ত্রের শিকার বাংলাদেশ

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, মিয়ানমারের মাদক ষড়যন্ত্রের শিকার বাংলাদেশ। এক সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল এলেও বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে আলোচনার ফলে ভারত সরকার সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিল কারখানাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে বিজিবি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কয়েকবার আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিয়ানমার ইয়াবা পাচার বন্ধের কথা দিলেও সে কথা রাখেনি। উল্টো ইয়াবার প্রস্তুতকারক রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে সমুদ্রসীমা জয়ের ফলে তেল, গ্যাসসহ খনিজ সম্পদের মালিকানা হাতছাড়া হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে মিয়ানমার বাংলাদেশে ইয়াবা ঠেলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে বিপদগামী করতেই মিয়ানমার এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। গতকাল ৪৯তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মান শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী। বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক সরদার আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ এবং বিএসটিআইর পরিচালক (মান) মো. সাজ্জাদুল বারী বক্তব্য রাখেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের অবস্থান শক্তিশালী করতে হবে। এ লক্ষ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জাতীয় মান প্রণয়ন জরুরি। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ্বব্যাপী মান ব্যবস্থাপনায় যেসব পরিবর্তন এসেছে, সেগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে মান প্রণয়ন, নির্ধারণ ও সংরক্ষণে অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য বিএসটিআইর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন। আমির হোসেন আমু বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এসব অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তর হবে। দেশীয় শিল্প কারখানায় দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এখন থেকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে আধুনিক প্রযুক্তিবান্ধব হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, কেমিক্যাল ও মুদ্রণ শিল্পখাত গড়ে তোলার লক্ষ্যে খাতভিত্তিক পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার জেলাপর্যায়ে বিএসটিআইর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএসটিআইর কয়েকটি গবেষণাগারের সনদ প্রদান পদ্ধতি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থার অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন করেছে।

সর্বশেষ খবর