শিরোনাম
বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদার যাবজ্জীবন সাজা চায় দুদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল এ মামলার হাই কোর্টে আপিল শুনানি চলাকালে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ দাবি জানান। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে মামলাটির আপিল শুনানি চলছে। এদিকে এক সম্পূরক আবেদনের বিষয়ে শুনানির সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে আদালত থেকে ওয়াকআউট করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, আবদুর রেজাক খান, জয়নুল আবেদীন ও এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তারা আদালত থেকে বেরিয়ে যান। এ ছাড়া যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে তাদের করা সময় আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আজ বুধবার দিন রেখেছে আদালত। গতকাল আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্কও উপস্থাপন শেষ করেছে। শুনানি শেষ করার পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তিতর্কে দুদকের পক্ষ থেকে আমরা যাবজ্জীবন সাজা চেয়েছি। আইন অনুযায়ী বিচারিক আদালতের পাঁচ বছর সাজা দেওয়া ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার করা আপিলসহ চারটি আবেদনের ওপর আজসহ ২৮ দিনের মতো শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ কার্যদিবসে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অতিরিক্ত সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য একটা দরখাস্ত নিয়ে এসেছিলেন। দরখাস্ত শুনে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের পরে আদেশ দেবে বলে আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে রাখে। খুরশীদ আলম বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) সকালে তাদের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন আদালতে এসে বললেন তাদের সেই দরখাস্তের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য। কেননা তারা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন। তখন আদালত বলল, সেটা আপনাদের ব্যাপার। এ সময় তারা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় চান। পরে আদালত ওই আবেদনটি নথিভুক্ত করে আদেশ দেয়। একই সঙ্গে তাদের সময় আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য বুধবার রাখে। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে যান। অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত যে সাজা দিয়েছে তা সঠিকভাবেই দিয়েছে। ওই সাজা যাতে বহাল থাকে আমি সেই মর্মে আদালতের কাছে প্রার্থনা করেছি। এ রায়ের বিরুদ্ধে সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করেছে দুদক। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করিনি। সেজন্য সাজা বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো বক্তব্য রাখার সুযোগ আমার ছিল না। খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে, তার উৎসসংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের একটি সম্পূরক আবেদন ছিল। আজ (মঙ্গলবার) আমরা সেই আবেদনের বিষয়ে শুনানি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত শুনানি না করেই আবেদনটি নথিভুক্ত করে আদেশ দেয়। এরপর আমরা আদালত থেকে বেরিয়ে আসি।

সর্বশেষ খবর