শিরোনাম
বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সংলাপ নিয়ে যত কথা

খোলামেলা আলোচনা হবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

খোলামেলা আলোচনা হবে : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপে খোলামেলা পরিবেশেই আলাপ-আলোচনা হবে, তা না হলে তো আমরা ডিনারের ব্যবস্থা করতাম না। খোলামেলা পরিবেশেই আমরা আলোচনা করব। তিনি বলেন, সংলাপ নিয়ে এর আগে আওয়ামী লীগ নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তাদের ‘পলিসিরই’  অংশ ছিল। আমাদের দলের নেতারা, আমরা একই ভয়েসে কথা বলি। আমাদের পলিসি সরকার ও দলের যা ছিল তাই বলেছি। আমরা কিন্তু শিফট করিনি, শিফটের বিষয় নয়। এটা তো এমন নয় দেশে একটা প্রতিবাদের ঝড়, দেশে একটা আন্দোলনমুখর অবস্থা। এই অবস্থায় সরকার নতি স্বীকার করে সংলাপে বসেছে, বিষয়টি তা নয়। সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গতকাল সচিবালয়ে সড়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, সংলাপে নিবন্ধনের বাইরে বোধ হয় কারও আসার সুযোগ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. কামাল হোসেন সাহেব ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমাদের পার্টির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। গতকাল ক্যাবিনেট মিটিংয়ের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় নেত্রী বলেছেন— আমাদের সঙ্গে কেউ দেখা করতে চান, শেখ হাসিনার দরজা তো কারও জন্য বন্ধ হয় না। আমার দরজা খোলা আছে। দেখা করতে চান, চিঠি দিয়েছেন, আমি দেখা করব। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঐক্যফ্রন্ট থেকে ১৫ জনের মতো সংলাপে অংশ নিতে চেয়েছেন। আমি বলেছি চাইলে ২০/২৫ জনও আসতে পারেন। জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিকে ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে নিলে বিষয়টি কীভাবে দেখবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটবে বলে আমার মনে হয় না। ড. কামাল হোসেন সাহেব তো প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি তো কিছু দিন আগে বলেছেন জামায়াতের সঙ্গে আমি নেই। বলেছেন না? তিনি কি করেন দেখি। ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার দলও নিবন্ধনভুক্ত নয়। এ কথা স্মরণ করিয়ে দিলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (ড. কামাল) কাকে সঙ্গে আনবেন তা তার হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট তাদের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য নিয়ে আলাপ করতে পারবে। তিনি বলেন, দাবি-দাওয়াগুলো এখন টেবিলে আসবে, সেখানেই আলোচনা হবে। চিঠির সঙ্গে তারা ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করেছেন, কাজেই এটাকে আমার নাকচ করার সুযোগ নেই। সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে এর আগে কোনো সংলাপ হয়নি। এদিক থেকে বিষয়টি একসেপশনাল, এক্সট্রা অর্ডিনারি ডিসিশন, এটা আসলে একটা সারপ্রাইজ, প্লিজেন্ট সারপ্রাইজ। কাদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সংলাপে অংশ না নিলেও ঐক্যফ্রন্টের এই সংলাপ আয়োজন সরকারের কোনো হাত নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশটা বিচিত্র দেশ। এখানে রাজনীতির যে কত ধারা, উপধারা, শাখা-প্রশাখা, কত যে গুজব আর গুঞ্জন, গুজব ও গুঞ্জনের বিশাল ফ্যাক্টরি আছে এখানে। কত কথা বলা হয়, যার সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার অর্থাৎ, মন্ত্রিসভা ছোট হবে কি হবে না তা প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে এই মন্ত্রিসভা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

সর্বশেষ খবর