শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বিজিবির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দেশ মাদক ও জঙ্গিমুক্ত রাখতে হবে

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশ মাদক ও জঙ্গিমুক্ত রাখতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিজিবি সদর দফতরে রামু রিজিওন এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর ব্যাটালিয়নের পতাকা উত্তোলনের পর মোনাজাত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : বাসস। তিনি গতকাল পিলখানায় ‘বিজিবি দরবার’-এ নবপ্রতিষ্ঠিত বিজিবি রামু আঞ্চলিক সদর দফতরের পতাকা উন্মোচন এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে নতুন দুই বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান। তিনি বিজিবির উদ্দেশে বলেন, আপনারা আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করুন, যাতে আমাদের দেশে মাদক প্রবেশ করতে না পারে এবং আমাদের দেশ মাদক পাচারের রুট না হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েদের মাদকাসক্তির কারণে অনেক পরিবার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি উল্লেখ করেন, তার সরকারের আরও চারটি বিজিবি সেক্টর, ১০টি ব্যাটালিয়ন, ডগ ট্রেনিং অ্যান্ড ব্রিডিং ইউনিট এবং নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, এই বাহিনীর সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিবিতে একটি এয়ার উইং সৃষ্টি করা হয়েছে। এ জন্য শিগগিরই দুটি হেলিকপ্টার ক্রয় করা হচ্ছে। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শাফীনুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সিনিয়র সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দরবারে বক্তব্যকালে প্রধানমন্ত্রী বিজিবির উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলার মিয়ানমার সীমান্তের কাছে বিজিবির রামু সদর দফতরটি হবে এই বাহিনীর পঞ্চম আঞ্চলিক সদর দফতর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই এই আঞ্চলিক সদরদফতর অনুমোদন করেন। কক্সবাজার ও বান্দরবান সেক্টরের সাতটি ব্যাটালিয়ন এই সদর দফতরের অধীনে ন্যস্ত থাকবে। বিজিবির নতুন ব্যাটালিয়ন দুটি নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে মোতায়েন থাকবে।

১০ কোটি টাকা অনুদান : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিদরিদ্রদের চিকিৎসা তহবিলে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। তিনি গতকাল সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় অতিদরিদ্র রোগী কল্যাণ তহবিলে এ অনুদান দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রবীর মিত্র ও নূতনের পাশে প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জন ব্যক্তি ও একটি সংগঠনকে ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রবীর মিত্র ও অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নূতন। প্রধানমন্ত্রী সকালে গণভবনে এই অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রবীর মিত্রকে ২৫ লাখ টাকা এবং নৃত্যশিল্পী নূতন ও লোকসংগীত সম্রাট কুদ্দুস বয়াতি এ দুজনের প্রত্যেককে ২০ লাখ করে টাকা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদানপ্রাপ্ত অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার জাকারিয়া মাসুদ, ঢাকার নিউ ইস্কাটনের বেগম বাণিজ্য ফাতেমা জলি, আবাহনী লি.-এর জেনারেল ম্যানেজার সুবাস সোম, ৭১ টেলিভিশনের সাংবাদিক মনজুর মোর্শেদ খান, ঢাকা দক্ষিণ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নীলুফা বেগম, সিরাজগঞ্জ সদরের মোছাম্মাৎ শিখা বেগম, রাজশাহীর পবা উপজেলার সৈয়দা ফাতেমা সিদ্দিকা রুবি, ঢাকার মতিঝিলের মো. সফিউল্লাহ, সেনাবাহিনীর এমপি ইউনিটের মরহুম মো. আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী মোছাম্মাৎ পলি বেগম, ঢাকার আশকোনার বেগম শাহনাজ পারভীন ও ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. মজিবুর রহমান।

সর্বশেষ খবর