শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
পল্টন নিয়ে পাল্টাপাল্টি

আব্বাসসহ আসামি ৪৪৮ তিন মামলায় গ্রেফতার ৬৫, রিমান্ডে ৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৪৮৮ জনকে আসামি করে পল্টন থানায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। তিনটি মামলায় ৬৫ জনকে গ্রেফতারের পর ৩৮ জনকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় আদালত। বাকি ২৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে গত রাত পৌনে ৮টার দিকে নয়াপল্টন নাইটিংগেল মোড় থেকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায়কে পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ছাড়া পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীসহ হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশকেই শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর বাইরে পল্টন থানার তিনটি মামলার তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ দলটির অন্যান্য শীর্ষ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে আগুন এবং ভাঙচুরের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলা নম্বর যথাক্রমে ২১, ২২ ও ২৩। ২১ নম্বর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১৯২ জন, তার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ১৬ জন। ২২ নম্বর মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ১৫৯ জন, তার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ২৩ জন এবং ২৩ নম্বর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১৩৭ জনের মধ্যে গ্রেফতার ২৬ জন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বিনা উসকানিতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। সংঘর্ষের জন্য মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা আখতারুজ্জামান ও নবীউল্লাহসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা দায়ী। তবে মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এটা সরকার বা আওয়ামী লীগের সাবোটাজ হতে পারে।

ডিবির ডিসি (পূর্ব) খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, পল্টন থানার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নিপুন রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন ওই গাড়িতে থাকায় তাকে প্রথমে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে এলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গাড়িতে দেশলাই দিয়ে যে যুবককে আগুন দিতে দেখা যায়, তার নাম শাহজালাল খন্দকার। তিনি পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। একই ঘটনার সময় পুলিশের গাড়ির ওপর যে যুবককে লাফাতে দেখা গেছে, তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। এই যুবকও ছাত্রদলের। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর