একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ১২টি প্রতিনিধি দল পাঠাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিটি দলে থাকবেন দুজন করে পর্যবেক্ষক। পাশাপাশি দেশীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএইডের মাধ্যমে ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষককে এ অনুদান দেওয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের নানা শঙ্কা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল না পাঠানো এবং ভোট বা এর ফলাফল নিয়ে কোনো মন্তব্য না করার ঘোষণার মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর এ তথ্য এলো।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারও দেশে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দূতাবাসের রাজনীতিবিষয়ক কর্মকর্তা উইলিয়াম ময়েলার বলেছেন, তার দেশ একডজন প্রতিনিধি দল পাঠাবে। প্রতিটি দলে দুজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন, যারা সারা দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজ করবেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য সরকার গুরুত্বারোপ করবে আশা প্রকাশ করে মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা একে স্বাগত জানাব এবং নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের জন্য আমরা অনুদান দেব, যারা একটা ইতিবাচক ফলাফল দেখার আশা করছে।’ সম্প্রতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগমুহূর্তে ভোটারদের হেনস্তা ও সার্বিক ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির খবরের কথা উল্লেখ করে উইলিয়াম ময়েলার বলেন, ‘আমরা আশা করছি এবারের জাতীয় নির্বাচনে তেমনটি ঘটবে না।’ ময়েলার জানান, ব্যাংককভিত্তিক এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন্স স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ৩০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে। তিনি আরও জানান, ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যবেক্ষককে যৌথভাবে অর্থায়ন করবে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, ব্রিটেনের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ও সুইজারল্যান্ড সরকার। এই ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষক এবারের জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান নেবেন। তবে তাদের পক্ষে সব কেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব হবে না-যোগ করেন ময়েলার।