চেয়ারম্যানের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং পুরনো মহাসচিবের বিদায় হওয়া সম্পর্কে যেসব ভাষ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় পার্টিতে হচ্ছেটা কী? দলটির নতুন মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার নিজেই পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে মহাসচিব পদে ইস্তফা দেন। তিনি গতকাল বনানীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় এইচ এম এরশাদ ‘শতভাগ সুস্থ’ আছেন দাবি করে তিনি বলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এরশাদের সিঙ্গাপুরে যাওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু দলের স্বার্থে ১০ ডিসেম্বরের আগে যাচ্ছেন না। এদিকে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১টায় আবার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয় সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে। গতকাল দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন, গতকাল সকালে কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, ছেলে সাদ এবং তার সঙ্গে কথা বলেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি সুস্থ আছেন। গতকাল সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে জাপা মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, ছেলে সাদসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন এরশাদ। তিনি সুস্থ আছেন। মহাজোটের সঙ্গে আসন রফা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গা বলেন, ৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই মহাজোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। যারা নির্বাচনে জিততে পারবে এবং মাঠপর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে। মহাজোটের বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই চূড়ান্ত হবে প্রার্থী তালিকা। তবে, জাতীয় পার্টি ৫৪ থেকে ৫৫টি আসন প্রত্যাশা করছে। যেসব আসনে জাতীয় পার্টি জিতে আসতে পারবে সেগুলোয় আমাদের শক্তিশালী প্রার্থী আছে। তবে মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গা বলেন, জাতীয় পার্টির কেউ মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকলে প্রেসিডিয়ামে আলোচনার মাধ্যমে কমিটি গঠন করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মো. হাফিজ উদ্দিন, মীর আবদুস সবুর আসুদ, এ টি ইউ তাজ রহমান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, শরিক নেতা এম এ মতিন, আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক, মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ। এদিকে গতকাল বিকালে কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম, শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ কে এম আসরাফুজ্জামান খান ও আবদুল জলিলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা নবনিযুক্ত মহাসচিবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।