বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

এবার নির্বাচনে নারী প্রার্থীরা অনেক বেশি উৎসাহী

জিন্নাতুন নূর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৮৫ জন নারী প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ এসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। ৩০ জন নারী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্যে এ খবর জানা গেছে।  যে সব নারী প্রার্থী লড়াইয়ে আছেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী  বেশি। এ দলের মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা ৩৩ জন। এরপরই রয়েছে আওয়ামী লীগের ১৮ জন নারী প্রার্থী। জাতীয় পার্টি মনোনীত বৈধ নারী প্রার্থী ৮ জন। পাঁচজন স্বতন্ত্র নারী প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও বৈধতা পেয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২১ জন নারী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী,  এবার ঢাকার আসনগুলোয় সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঢাকার ২০ আসনের মধ্যে ৮টি আসনেই নারী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের সাহারা খাতুন, ঢাকা-১১ আসনে বিএনপির শামীম আরা বেগম, ঢাকা-৬ আসনে জাসদের কাজী সালমা সুলতানা, ঢাকা-৮ আসনে জাতীয় পার্টির মিনি খান, বাসদের শম্পা বসু, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সুমি আক্তার শিল্পী, মুসলিম লীগের হাসিনা হোসেন, পিপলস পার্টির মাহফুজা আক্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্য আসনগুলোর মধ্যে পঞ্চগড়-২ বিএনপির নাদিরা আক্তার, দিনাজপুর-৬  পিপলস পার্টির শাহিদা খাতুন, নীলফামারী-৪ বিএনপির বেবী নাজনীন, রংপুর-৩ বিএনপির রিটা রহমান, গাইবান্ধা-২ আওয়ামী লীগের মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ জাতীয় পার্টির দিলারা খন্দকার, একই আসনে বিএনপির রওশন আরা খাতুন, বগুড়া-৩ বিএনপির মাসুদা মোমিন, রাজশাহী-১ বিএনপির আভা হক, নাটোর-১ বিএনপির কামরুন নাহার, নাটোর-২ বিএনপির সাবিনা ইয়াসমিন, সিরাজগঞ্জ-১ বিএনপির রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, সিরাজগঞ্জ-২ বিএনপির রুমানা মাহমুদ, কুষ্টিয়া-১ কল্যাণ পার্টির সাহানা সুলতানা, কুষ্টিয়া-২ বিএনপির মোসা. ফরিদা ইয়াসমিন, যশোর-৪ বিএনপির তানিয়া রহমান, যশোর-৬ আওয়ামী লীগের ইসমত আরা সাদেক, বাগেরহাট-৩ আওয়ামী লীগের হাবিবুন নাহার, খুলনা-৩ আওয়ামী লীগের বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সাতক্ষীরা-১ বিএনপির শাহনারা পারভিন, পটুয়াখালী-১ ও ২ থেকে বিএনপির সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী এবং সালমা আলম, ভোলা-১ জাতীয় পার্টির রেবা রহমান, বরিশাল-৩ বিএনপির সেলিমা রহমান, আর বরিশাল-৫ পিপলস পার্টির শামীমা নাসরিন,  বরিশাল-৬ জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্না,  ঝালকাঠি-২ বিএনপির ইসরাত সুলতানা ভুট্টো ও জীবা আমিনা খান, টাঙ্গাইল-৭ প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল লিপি বেগম, শেরপুর-১ বিএনপির সানসিলা জেবরিন, শেরপুর-২ আওয়ামী লীগের মতিয়া চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৩, ৪, ৭ এবং ১১ আসনে যথাক্রমে স্বতন্ত্র নাজনীন আলম, জাতীয় পার্টির দুই আসন (৪ ও ৭) রওশন এরশাদ, জাকের পার্টির নাজমা আক্তার, নেত্রকোনা-৪ কমিউনিস্ট পার্টির জলি তালুকদার, বিএনপির তাহমিনা জামান, আওয়ামী লীগের রেবেকা মোমিন, নেত্রকোনা-৫ বিএনপির রাবেয়া খাতুন, মানিকগঞ্জ-২ ও ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মমতাজ বেগম ও বিএনপির আফরোজা খান রিতা, মুন্সীগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগের সাগুফতা ইয়াসমিন, গাজীপুর-৪ ও ৫ আসনে আওয়ামী লীগের সিমিন হোসেন রিমি এবং মেহের আফরোজ, জাতীয় পার্টির রাহেলা পারভিন শিশির, নরসিংদী-৫ আসনে মেহেরুন নেছা খান হেনা, ফরিদপুর-২, ৩  ও ৪ আসনে বিএনপির শামা ওবায়েদ ইসলাম ও আওয়ামী লীগের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বিএনপির নায়াব ইউসুফ আহমেদ এবং শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা, সুনামগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগের জয়া সেনগুপ্তা, সিলেট-২ বিএনপির মোছা. তাহমিনা রুশদীর, মৌলভিবাজার-৩ বিএনপির রেজিনা নাসের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ বিএনপির রুমিন ফারহানা, কুমিল্লা-২ আওয়ামী লীগের সেলিমা আহমেদ, চাঁদপুর-১ এবং ৩  বিএনপির নাজমুন নাহার বেবী ও আওয়ামী লীগের ডা. দীপু মনি, জাকের পার্টির দেওয়ান কামরুন্নেছা ও বিএনপির রাশেদা বেগম হীরা, ফেনী-১ জাসদের শিরীন আখতার, নোয়াখালী-৪ বিএনএফ-এর সামসুন নাহার ও মমতাজ বেগম, বিএনপির হাসনা জসীম উদ্দিন মওদুদ, নোয়াখালী-৬ আওয়ামী লীগের আয়েশা ফেরদৌস, লক্ষ্মীপুর-৪ জেএসডির তানিয়া রব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদা বেগম, চট্টগ্রাম-২, ৫, ১০, ১২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরী আরা, বিএনপির সাকিলা ফারজানা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা খাতুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম এবং এলডিপির নাহিদ ফারহানা, কক্সবাজার-১ ও ৪ আসনে বিএনপির হাসিনা আহমেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী তানিয়া আফরিন এবং আওয়ামী লীগের শাহীন আক্তার, রাঙামাটিতে ওয়ার্কার্স পার্টির জুঁই চাকমা নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন।    

এ ছাড়া বাদ পড়া নারী প্রার্থীদের সংখ্যা ৩০। এদের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী ১০ জন ও আওয়ামী লীগের ১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২ জন। আর মুসলিম লীগ, জাতীয় পার্টি এবং জেএসডি মিলিয়ে আরও ৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তিনটি আসন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর