রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপি অফিসে ক্ষোভের তালা

১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম এহছানুল হক মিলনের সমর্থকদের, কুশপুত্তলিকা দাহ, জ্বলছে ক্ষোভের অনল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি অফিসে ক্ষোভের তালা

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলনকে মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার এলাকার নেতা-কর্মীরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মনোনয়নবঞ্চিতরা। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। তারা দলের সাইনবোর্ডও ভাঙচুর করেন। পরে আলটিমেটাম দিয়ে সন্ধ্যায় তারা গুলশান কার্যালয় ঘেরাও এবং ভাঙচুর করেন। এতে যোগ দেন মনোনয়নবঞ্চিত অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারীরা। গুলশান কার্যালয়ের মূল ফটকে লাথি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালান তারা। এতে গুলশান কার্যালয়ের দোতলার জানালার কাচ ভেঙে যায়। ভাটা পড়ে মনোনয়ন ঘোষণায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন দলের সিনিয়র নেতা ও মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। চাঁদপুরের কচুয়ার বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘোষণা দেন, মিলনকে মনোনয়ন না দিলে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। মালয়েশিয়াপ্রবাসী ‘অখ্যাত’ যে ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাকে কচুয়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। ঢাকায় বিক্ষোভ থাকবে অব্যাহত। এদিকে শুধু মিলন নন, বিভিন্ন এলাকার ক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্ষোভ-বিক্ষোভে উত্তাল করে রাখেন খালেদা জিয়ার কার্যালয়। এ সময় দলের সিনিয়র নেতারাও গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে গতকাল দিনভর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। শুক্রবার দীর্ঘ রাত পর্যন্ত গুলশান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় বঞ্চিতদের। গতকাল সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সমর্থকরা। এ সময় গুলশান কার্যালয়ে তারা ঢিল ছুড়ে মারেন। এতে কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার কাচ ভেঙে যায়।

শুক্রবার রাতেই মনোনয়ন না পাওয়ায় বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু গুলশান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন। ছাত্রদলের সাবেক নেতা হাসান মামুন ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার সমর্থকদেরও বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও ঝাড়ুমিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

নয়াপল্টন কার্যালয়ে মিলন সমর্থকদের তালা : ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা খুলে দিয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনের অনুসারীরা। এই ১২ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদপুর-১ আসনের মনোনয়ন পরিবর্তন করে মিলনকে প্রার্থী করার দাবিতে গতকাল দুপুর সোয়া ২টায় মূল ফটকের তালা খুলে দেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১টার দিকে মিলনের সমর্থকরা গেটে তালা দেন। চাঁদপুর জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে কচুয়া আসনে মিলনকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেছি। নইলে পল্টন কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হবে।’ তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি রুহুল কবির রিজভী। বেলা ১২টা থেকে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদে কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা। বিক্ষোভে অংশ নেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, মিলনের জায়গায় চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মোশাররফ হোসেনকে এলাকায় কেউ চেনেন না। সারা জীবন তিনি মালয়েশিয়ায় ছিলেন। অন্যদিকে মিলন পাঁচ বছর দেশের বাইরে থাকলেও তার সঙ্গে এলাকার মানুষের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। এখনো তিনি জেলে আছেন। তার ত্যাগকে মূল্যায়ন করা হয়নি। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী বলেন, ‘কচুয়ার আসনটি পুনরুদ্ধার করতে মিলনের কোনো বিকল্প নেই।’ গুলশান কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধদের হামলা : মনোনয়ন না দেওয়ায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসসেনর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন দলটির তিন নেতার সমর্থকরা। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও গোপালগঞ্জের সেলিমুজ্জামান সেলিমের কয়েক হাজার সমর্থক গতকাল সন্ধ্যায় এ হামলা চালান। হামলায় বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মোহম্মদ শাহ আলম ফারুক আহত হন। সাড়ে ৫টার দিকে কার্যালয়ের সামনে এসে ঢিল নিক্ষেপের পাশাপাশি বিক্ষোভ করেন তারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খানসহ দলটির সিনিয়র নেতারা কিছু সময়ের জন্য ওই কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এহছানুল হক মিলন চাঁদপুর-১, তৈমূর আলম নারায়ণগঞ্জ-১ ও সেলিমুজ্জামান গোপালগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক হাজার নেতা-কর্মী এসে বিএনপি কার্যালয় ঘেরাও করেন। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার জানালার কাচ ভেঙে যায়।

মহাসচিবের গাড়িতে হামলা : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়ির চালক হেলাল উদ্দিনকে মারধর করেন মনোনয়নবঞ্চিতরা। 

খোন্দকার দেলোয়ারপুত্র ডাবলুর কান্না, বিক্ষোভ : বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষোভ-হতাশায় কেঁদে ফেলেন দলটির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে অ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু। চূড়ান্ত মনোনীতদের নাম ঘোষণার পর শুক্রবার রাতে ছোট বোন ডা. দেলোয়ারা বেগম পান্নাকে নিয়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ছুটে যান ডাবলু। অধ্যক্ষ সোহরাব সমর্থকদের বিক্ষোভ : আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন কুষ্টিয়া-৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় কুষ্টিয়া-৩ আসন থেকে ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারের নাম ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। আবদুল্লাহর সমর্থকদের ঝাড়ুমিছিল : মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে শাহ মোয়াজ্জেমকে বিএনপি মনোনয়ন দেওয়ায় ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত শেখ মো. আবদুল্লাহর সমর্থকরা। গতকাল সকালে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের নিমতলায় সড়ক দখল করে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়ে যায়। এ সময় আন্দোলনকারীরা জানান, শাহ মোয়াজ্জেম কখনো এলাকায় আসেন না। বিপদের সময় নেতা-কর্মীদের খোঁজও নেন না। তার মতো নেতাকে মনোনয়ন দিয়ে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) বিএনপি নেতা-কর্মীদের হতাশ করা হয়েছে। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ত্যাগী নেতা শেখ মো. আবদুল্লাহই যোগ্য ছিলেন বলে মন্তব্য করেন তারা।

গোপালগঞ্জে দুই প্রার্থীর কুশপুত্তলিকা দাহ : গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জ-১ আসনে সেলিমুজ্জামান সেলিম ও গোপালগঞ্জ-২ আসনে ডা. কে এম বাবরকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও দুই প্রার্থীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় গোপালগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। গতকাল সকালে গোপালগঞ্জ-১ আসনে সেলিমুজ্জামান সেলিম ও গোপালগঞ্জ-২ আসনে ডা. কে এম বাবরকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে শহরের চৌরঙ্গি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

রংপুরে রিটা রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা : রংপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর) আসনে রংপুর মহানগর বিএনপি সভাপতি মোজাফফর হোসেনকে মনোনয়ন না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় রংপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রিটা রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্য প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান মহানগর বিএনপি সভাপতি মোজাফফর হোসেন। শুক্রবার রাতে নগরের গ্রান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে মহানগর বিএনপি এ ঘোষণা দিয়েছে।

এ সময় মহানগর বিএনপি সভাপতি মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি বিভিন্ন সংকটে আন্দোলন করে আসছে। এখানকার নেতা-কর্মীরা তাকেই নির্বাচনের জন্য যোগ্য মনে করেন, যিনি জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে সর্বাধিক পরিচিত, যিনি বিএনপির বিভিন্ন সংকটে রংপুরের সব আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে নিযুক্ত করেছেন। এখানকার নেতা-কর্মীরা অপরিচিত কোনো মুখকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মেনে নেবেন না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে দলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে আমরা নতুন করে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’

নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু বলেন, ‘এটি শুধু নির্বাচন নয়, একটি আন্দোলনও বটে। সুতরাং পরীক্ষিত নেতৃত্বকেই মনোনয়ন দিতে হবে। আজকে যে সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছি, তাতে আমরা ক্ষুব্ধ, বিস্মিত, লজ্জিত। একটি বিভাগীয় শহরের হেডকোয়ার্টারে বিএনপির মহানগর সভাপতিকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। আমরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারি না। আমরা এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছি।’ এ সময় মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সহিদুল আলম বুলবুল, সহসভাপতি কাওছার জামান বাবলা, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেত্রী সাহিদা রহমান জোসনা, মহানগর যুবদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সহিদ, মহানগর যুবদল সাধারণ সম্পাদক জহির আলম নয়ন, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর