শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য হুমকি

মার্কিন কংগ্রেসম্যান

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রভাবশালী মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাংকস। তিনি বলেন, একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর মতো গ্রুপ এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হুমকি। ওয়াশিংটনে আয়োজিত ‘স্ট্যাবিলিটি, ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড ইসলামিজম’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বয়স খুব বেশি নয়। আর ক্ষমতা দখলে কিছু উগ্রবাদী সংগঠন এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

আলোচনা সভায় জিম ব্যাংকস বলেন, উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো খ্রিস্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধদের মতো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলার শিকার হয়েছেন আধুনিক মুসলিমরাও। জিম বলেন, কয়েক দিন আগেও দুজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন সামনে রেখে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। জিম ব্যাংকস বলেন, গণফোরামের নেতাও বলেছিলেন জামায়াত থাকলে তিনি বিএনপিকে জোটে নেবেন না। কংগ্রেসম্যান বলেন, উগ্রপন্থি ইসলামি গোষ্ঠীগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএআইডি ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে বলা হয়েছে যেন এমন উগ্রবাদী গোষ্ঠী-সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠনকে সহায়তা করা না হয়। বিগত নির্বাচনের সময় এমন গোষ্ঠীগুলো কীভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক দেশ। বিশ্বদরবারে তাদের অবস্থান জানাতে শুরু করে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলো এ উন্নয়নের জন্য হুমকি। কংগ্রেসম্যান বলেন, মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে খুবই ইতিবাচকভাবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। পিউ রিসার্চের একটি জরিপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৭৬ শতাংশ মানুষও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে ইতিবাচক। জিম ব্যাংকস বলেন, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি সেনাদের প্রশিক্ষণে ৩৬ লাখ ডলার সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় তিনি জাতিসংঘে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। কংগ্রেসম্যান বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিকে বিশ্ব তাকিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন এবং সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হোক।আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন লিবার্টি সাউথ এশিয়ার সেথ ওল্ডমিক্সন, মিডলইস্ট ফোরামের স্যাম ওয়েস্ট্রপ ও ইনভেস্টিগেটিভ প্রজেক্ট অন টেররিজমের আভা শংকর। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন হাডসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক রাষ্ট্রদূত হুসাইন হাকানি।

সর্বশেষ খবর