রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সারা দেশে সংঘর্ষ গুলি ককটেল বিস্ফোরণ হামলা অব্যাহত

বিভিন্ন জেলায় আহত শতাধিক, গ্রেফতার অর্ধশত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোটের বাকি ছয় দিন। সারা দেশে বইছে নির্বাচনী প্রচারণার উত্তাপ। গতকালও নরসিংদী, সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালী, কুমিল্লা, হবিগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষ, মামলা, কুপিয়ে আহত ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। নরসিংদীর শিবপুরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ও দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে  মাহিয়া নামে ১০ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এম শাহাদত হোসেন ঠাণ্ডুকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত ও ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদারীপুর-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী মিল্টন বৈদ্যকে হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তি। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় নাশকতা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়কসহ আট নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত ও অধর্শত গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

ঢাকা : ঢাকা-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, ‘আমার ও আমার সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাসের ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচনী কার্যক্রমকে কয়েকদিন ধরে একটি গ্রুপ ফলো করছে। আমরা যখনই প্রচারণার কাজে বেরোতে যাই, তখনই বাড়ির চারদিকে অসংখ্য অপরিচিত মুখ। তাদের আচরণ ও চাউনি সবকিছুই আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। আগে আমাদের নেতা-কর্মীদের রাতের বেলায় বাসায় প্রবেশের সময় কিংবা বের হওয়ার সময় আটক করা হতো। এখন দিনের বেলায় নেতা-কর্মীরা বাসায় প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় আটক করা হচ্ছে। আটক করে কোথায় নিচ্ছে আমরা জানি না। গণসংযোগে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মী বিশেষ করে মহিলাদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মিছিল কিংবা গণসংযোগে যোগদান করলে তাদের দেখে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কার বাসা কোথায় ঠিকানা চাওয়া হচ্ছে। আমরা গণসংযোগ চালাতেই পারছি না। নির্বাচনী কার্যক্রম যতটুকু করতে পারছি, তার চেয়ে বেশি জিম্মি রয়েছি আমরা। লেভেল প্লেয়িং দূরের কথা এটা নির্বাচনের পরিস্থিতিই নয়।’ ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক সাজু ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। তিনি ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে ধানের শীষে ভোটদানের আহ্বান জানান। এ সময় সাজু অভিযোগ করেন, ‘আমার নির্বাচনী মাইকিংয়ের সময় ধানের শীষের কর্মী আসাদকে দুষ্কৃতিকারীরা বাধা দিয়েছে। মাইক কেড়ে নেওয়াসহ শারীরিকভাবে আঘাত ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে সব দল যেন নিজ নিজ এলাকায় কার্যক্রম চালাতে পারে সে লক্ষ্যে সমান মাঠ তৈরিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকায় গতকাল গণসংযোগ করেন ঢাকা-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তারা প্রজাতন্ত্রের লোক। তাদের কাজ জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু কিছুু পুলিশ সদস্য যে আচরণ করছেন, নির্বিচারে গ্রেফতার করছেন তাতে অবাধ নির্বাচন কিছুতেই সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছে না। ইসি ও প্রশাসন আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে।’ এ সময় তিনি তার সময়ে শ্যামপুর-কদমতলীতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে আবারও ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত তার নির্বাচনী আসনের তিলপাপাড়া, খিলগাঁও চৌরাস্তা, সিপাহীবাগ, গোড়ান নবাবি মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠ লেভেল প্লেয়িং হলে বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা নির্ভয়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু সিইসি, সরকারের মন্ত্রী-এমপি, পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন একজোট হয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও গায়েবি মামলার মাধ্যমে নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে। নির্বাচনের মাঠ ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং হলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঠে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ নির্বাচিত হলে নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা-১১ আসনে বিএনপি প্রার্থী শামিম আরা বেগম। গতকাল রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মৌলভীরটেক এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি। শামীম আরা বেগম আরও বলেন, ‘যেখানেই যাই, সেখানেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।’ ৩০ ডিসেম্বর সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হলে জনগণ তাকেই নির্বাচিত করবে বলে আশাবাদী তিনি।

নরসিংদী : শিবপুরে বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর এলাহীর নির্বাচনী ক্যাম্প ও দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মাহিয়া (১০) নামে এক মাদ্রসাছাত্রীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা দলীয় কার্যালয় ও একটি প্রাডো জিপসহ ৬টি গাড়ি ও ২০টি মোটরসাইকলে ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল দুপুরে শিবপুর কলেজ গেট ধীমান মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মাহিয়া শিবপুরের মৃত জালাল মিয়ার মেয়ে ও শিবপুর দারুল উলুম ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল দুপুরে নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর এলাহী শতাধিক নেতা-কর্মী ও গাড়িবহর নিয়ে শিবপুর কলেজ গেট এলাকায় দলীয় কার্যালয় ও নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করতে যান। ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী সভা করছিলেন। এ সময় ৪টি মাইক্রোবাসযোগে মুখোশ পরা ২৫-৩০ দুর্বৃত্ত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। ভাঙচুর করে দলীয় কার্যালয়, মোটরসাইকেল ও গাড়ি। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে মাহিয়া নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীসহ ১০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে শিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাহিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সিরাজগঞ্জ : সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এম শাহাদাত হোসেন ঠাণ্ডুকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। তার মোটরসাইকেলটিও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পোড়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। বিএনপি নেতার ভাই আক্কাস আলী জানান, দুপুরে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলের পেছনে চড়ে কাজে যাওয়ার সময় অডিটোরিয়ামের সামনে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করে ঠাণ্ডুকে। এ সময় মোটরসাইকেলটিও পুড়িয়ে দেয় তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নোয়াখালী : সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দুটি অফিসসহ ভাঙচুর হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় দুই দল পরস্পরকে দোষারোপ করে। এ ঘটনায় চরজব্বর থানা পুলিশ সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপি সভাপতি এ বি এম জাকারিয়াসহ ১৫ জনকে আটক করেছে। জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভূঁইয়ারহাট বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা ও পথসভা করছিলেন বিএনপি প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। একই সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে বাজারে ঢুকলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

কুমিল্লা : কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরীর গণসংযোগের গাড়িবহরে ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল উপজেলার দড়িকান্দি ব্রিজের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তিনি তিতাসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি সুষ্ঠুধারার রাজনীতি ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার দেখে ঈর্ষান্বিত হয়েই আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে ও হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দড়িকান্দি পথসভাস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার উত্তরে আমার গাড়িবহরের পেছন থেকে ক্রস করে এসে তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার থেকে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত দক্ষিণ দিকে চলে যায়। যত হামলা ও পরিকল্পনাই করা হোক না কেন এই বিজয়ের মাসে ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চত ইনশা আল্লাহ।’ বিএনপি প্রার্থী দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তাদের কোনো জনভিত্তি নেই। তিতাসে বিএনপির ৮২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তারা এলাকায় নেই, সবাই কোর্টে ব্যস্ত। নিজেরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দিয়ে হয়রানির পরিকল্পনা করছে।’

মাদারীপুর : মাদারীপুর-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মিল্টন বৈদ্যকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে। সরকারদলীয় প্রার্থীর হুমকি-ধমকিতে বের হতে পারছেন না প্রচার-প্রচারণায়। এমন অভিযোগ এনে গতকাল দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। মিল্টন বৈদ্য অভিযোগ করে বলেন, ‘মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই সরকারদলীয় প্রার্থী নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। নির্বাচনী এলাকায় আমার কোনো পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার রাখতে দিচ্ছেন না।’ তিনি এ সময় মাদারীপুর পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার ও রাজৈর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগ করেন।

হবিগঞ্জ : শায়েস্তাগঞ্জের পুটিয়া গ্রামে পুলিশকে কিলঘুষি মেরে ও হামলা চালিয়ে পুলিশের ক্যামেরা ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের ৭৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়। শুক্রবার রাত ১১টায় শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই কমলাকান্ত বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : শিবগঞ্জ উপজেলার ছল্ফাজিত্পুর ইউনিয়নের চকঘোড়াপাখিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের নির্বাচনী অফিস শুক্রবার রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর বাজার বেগমকাচারী এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মুহা. জিয়াউর রহমানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দুর্বৃত্তরা ককটেল হামলা চালায়। এতে দুজন আহত হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বাধার কারণে নিজ গ্রামেই গণসংযোগ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হানিফ। গতকাল বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে নির্বাচনের নামে প্রহসন মঞ্চস্থ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন। গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

খাগড়াছড়ি : রামগড় উপজেলায় প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ চালিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মো. শহীদুল ইসলাম ভূইয়া ফরহাদ। গণসংযোগকালে রামগড় বাজারে পুলিশবক্সের কাছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা পটকা ফাটিয়ে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ধানের শীষ প্রার্থীর।

সর্বশেষ খবর