বুধবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সব পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘের

অভিনন্দন জানাল যুক্তরাষ্ট্র

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। যাতে মানুষ মত প্রকাশ ও সভা-সমাবেশের অধিকার চর্চার সুযোগ পায়। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে গতকাল এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন নিয়ে অভিযোগগুলো শান্তিপূর্ণভাবে এবং আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান করতে আমরা সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। গত রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর বিপরীতে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। ভোটে বাধা দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্ট ফলাফল বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন তা নাকচ করেছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেছেন, সহিংসতা এবং মানুষের জানমালের ওপর আঘাত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশের নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা এবং অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জাতিসংঘ অবগত। ভোটের প্রচার ও নির্বাচনের দিন প্রার্থী ও ভোটারদের হতাহতের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

ভোটারদের অভিনন্দন জানাল যুক্তরাষ্ট্র : বাংলাদেশের একাদশ নির্বাচনের ভোট প্রদান করা দশ কোটি ভোটারকে অভিনন্দন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। পাশাপাশি ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কটের পর সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণকেও অভিনন্দন জানিয়েছে তারা। গতকাল এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। সেই সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগগুলো যথাযথভাবে খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক বিনিয়োগকারী রাষ্ট্র, বাংলাদেশি পণ্যের এক বৃহত্তম বাজার।

বিশালসংখ্যক বাংলাদেশি বংশো™ভূত আমেরিকানের আবাসও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঈর্ষণীয় রেকর্ড এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধীপক্ষের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মকা  চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সহিংসতা, বাধা-বিপত্তিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচারণা ও সমাবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ার খবরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে নির্বাচনের দিনের সহিংসতায় কিছু মানুষের ভোট প্রদান হতে বিরত থাকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন, কারণ এ ধরনের ঘটনা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিষয়ে মানুষের অনাস্থা তৈরি করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর