বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ নয়, এমপি ইউএনও-ওসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ নয়, এমপি ইউএনও-ওসি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী এবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হননি, বরং প্রত্যেক এলাকার ইউএনও, থানার ওসি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ভোটে ‘কারচুপির’ পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী মতের মানুষের ওপর ‘সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচনে মানুষের ভোটে নয়, গায়েবি ভোটে জয়ী হয়েছে। ভোট জালিয়াতি করতে পানির মতো টাকা খরচ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। তারাই একতরফা নির্বাচনের মুখ্য উপাদান হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে আর গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জ্বল যুগ সৃষ্টি হলো না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে নতুন গভর্নমেন্ট তৈরি হবে- তা হবে ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য বিজিবি, বাই দ্য র‌্যাব এবং ফর দ্য পুলিশ’। তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে নিষ্ঠুর রসিকতা করে এখন জনপদের পর জনপদে ধানের শীষের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর চলছে পৈশাচিক বর্বরতা। সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীতে। নৌকায় ভোট না দেওয়ায় এক সিএনজি চালক ও তার সন্তানদের বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে (৪ সন্তানের মাকে) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় ২৮টি বাড়িতে লুটপাটসহ পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ২৯ ডিসেম্বরের রাতকে কালো রাত আখ্যায়িত করে রিজভী আহমেদ বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় জীবনের একটি অন্ধকার দিন। ২৯ ডিসেম্বর রাতে মানবশূন্য কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির উল্লাসে মেতে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী ক্যাডাররা। এ নির্বাচনের পর দেশ আরও একধাপ তামাশাচ্ছন্ন বর্বর যুগে প্রবেশ করল। এর ফলে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নের ওপর নেমে আসে মহাদুর্যোগ। সেদিন রাতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ঢোকানোর কথা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলাম। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই মহাডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে তারা ক্রমান্বয়ে উপহাস করছে। আওয়ামী নেতারা এখন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাদের চাপাবাজি ও গলাবাজির জোরে ভোট নিয়ে মহাজালিয়াতির ঘটনা আড়াল করতে চাচ্ছে। কিন্তু দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে কিছুই এড়িয়ে যায়নি। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ১৯৭৩ সালের খারাপ নির্বাচনের চেয়েও কুৎসিত।

সর্বশেষ খবর