শিরোনাম
রবিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নালিশ ছাড়া বিএনপির অবলম্বন নেই : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে হারের পর বিএনপির নালিশ ছাড়া আর কোনো অবলম্বন নেই। সেটা তাদের পুরনো অভ্যাস, পুরনো অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। মির্জা ফখরুল যেসব কথাবার্তা বলছেন, এটা আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ একজন রাজনীতিকের অসংলগ্ন সংলাপ। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় বসার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি একথা বলেন। সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সৈয়দ আশরাফের মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়ার কোনো কর্মসূচি কেন নেই তা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ব্যাপারটা আমাদের ওপর ছেড়ে দিন। নিশ্চয়ই আমাদের চেয়ে বেশি দরদ আপনাদের নেই। আমরা একসঙ্গে ছিলাম, একসঙ্গে আছি, আমাদের নেতা-কর্মীদেরও এখানে অনুভূতি আছে। কিন্তু চিন্তা করতে হবে। তিনি কতদিন ধরে হাসপাতালের বেডে ছিলেন। এ ধরনের কঠিন ব্যাধির পর সেখানে তাকে এতদিকে টানাহেঁচড়া করা, এমনিতেই কিশোরগঞ্জ নিতে হবে, ময়মনসিংহ নিতে হবে। এতদিকে টানা হেঁচড়া করাটা বোধহয় এই মৃতদেহটার জন্য একটু বেশি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, সৈয়দ আশরাফ ছিলেন আওয়ামী লীগের অ্যাসেট। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ দুঃসময়ের একজন নেতাকে হারাল। এর আগে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ধর্ষণের প্রসঙ্গে কথা বলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি জড়িতদের স্থানীয়ভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে বহিষ্কারসহ চূড়ান্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলেন। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনগত সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর সময় কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্য কাউকে ঢুকতে না দেওয়ার প্রস্তাব দেন দলের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অনেকেই প্রবেশ করেন, বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। কাজেই এখন থেকে যতক্ষণ সেখানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন, ততক্ষণ অন্যদের প্রবেশের ব্যাপারে কড়াকড়ি করলে ভালো হয়। এ সময় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম সমর্থন করেন। জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন, আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের দিন যতক্ষণ ৩২ নম্বর ভবনের সামনে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন এবং শ্রদ্ধা জানাবেন তখন কেবল কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রবেশ করতে পারবেন। আর কেউ প্রবেশ করবেন না। প্রধানমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করার পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর