বুধবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আর্থিক খাতের অবস্থা ততটা খারাপ নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক খাতের অবস্থা ততটা খারাপ নয়

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের আর্থিক খাতের অবস্থাকে যতটা খারাপ বলা হয় আসলে ততটা খারাপ নয়। ব্যাংকিং খাতের অবস্থাও ভালো রয়েছে। না হলে এত উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয় কী করে? গতকাল তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে মেয়াদের শেষ কর্মদিবস অতিবাহিত করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যারা কর দেয় তাদের আহত না করেই রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। যাদের কর দেওয়ার কথা তারা সবাই কর দেবে। যারা যোগ্য তাদের সবাইকে করের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে আমি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব। সেই সঙ্গে বৈঠক করব, কোন খাতে কত রেট নির্ধারণ করা যায় এবং কোন খাত থেকে বেশি রাজস্ব আসবে এ বিষয় নির্ধারণ করব।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হলেও একটা জায়গায় বিতর্ক আছে। আর সেটি হচ্ছে আর্থিক খাতের খারাপ অবস্থা। তবে যতটা শুনতে পাই ততটা খরাপ অবস্থা নয়। যদি ব্যাংকিং খাত বা আর্থিক খাত অতটা খারাপ হতো, তাহলে সার্বিক অর্থনীতি এতটা উন্নত হলো কীভাবে?’ উল্টো প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে গতিবেগ এলো কীভাবে, প্রবৃদ্ধি হলো কীভাবে? তবে যেখানে যেটুকু সমস্যা আছে তা সমাধানের জন্য আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি মনে করি, সহজ উপায় হচ্ছে সংস্কার, যেসব জায়গায় দীর্ঘদিন হাত দেওয়া হয় নাই। অর্থনীতিতে অনেক সবল ও দুর্বল জায়গা রয়েছে। পুরনো অনেক আইন আছে যেগুলো এখনো কার্যকর। এসব বিষয়ে ভেবে দেখা হবে।’ তিনি বলেন, অর্থনীতির চালকের আসনে বসবে বেসরকারি খাত। আগামী পাঁচ বছরে অনেকেই ফিরবে। যারা চলে গেছেন বা বিনিয়োগ করছেন না তাদের আবার ফেরত আনা হবে। কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানো হবে। ব্যবসার পরিবেশ সহজ করা হবে। ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হবে। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ অনেক আসবে। আমার মূল লক্ষ্য হচ্ছে, প্রো-ডেভেলপমেন্ট, প্রো-গ্রোথ, প্রো-ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রো-কর্মসংস্থান করা। সদ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘তিনি অনেক কিছুই করেছেন। অর্থনীতি গতিশীল করতে মুহিত ভাইয়ের অবদান রয়েছে। তিনি অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে কাজ করেছেন। তিনি যে বয়সে কাজ করেছেন আমরা ওই বয়সে সেটি পারব কি না জানি না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এত দিন অনেক অবকাঠামো তৈরি করেছি। সেগুলো এগিয়ে চলেছে। এগুলোর পাশাপাশি বিশ^াস হচ্ছে শক্তিশালী অবকাঠামো। মানুষকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যাওয়া। মানুষের মধ্যে যখন বিশ^াস জন্ম নেবে তখন তারা সম্পূর্ণরূপে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাজেট নতুন কিছু নয়। তবে বাজেট শুধু এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়। বাজেটে এ বছরের কথা থাকবে এবং আগামী পাঁচ বছরে কী থাকবে তার প্রতিফলন থাকবে। এখনকার চাহিদা এবং আগামী পাঁচ বছরের চাহিদা নিরূপণ করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে আমরা এগিয়ে যাবই।’

সর্বশেষ খবর