বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আইনের দুর্বলতায় খেলাপি ঋণ কমানো যাচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনের দুর্বলতায় খেলাপি ঋণ কমানো যাচ্ছে না

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আইনি দুর্বলতার কারণে খেলাপি ঋণ কমানো যাচ্ছে না। এ জন্য কিছু আইনকানুনের পরিবর্তন আনা হবে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আমার সঙ্গে একমত হবেন। আইন মন্ত্রণালয়ও আমাদের সহায়তা দেবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনে কিছু দুর্বলতা আছে। এসব কাটিয়ে উঠতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে এ আইনে  সংশোধনী নিয়ে আসা হবে। খেলাপি হওয়ার পর মানুষ দ্রুত হাই কোর্টে চলে যায়। এ জন্য একটা ব্যবস্থা নিতে হবে।’ গতকাল সচিবালয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকিং বিভাগের জনবল সংকট রয়েছে। ব্যাংকিং খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখানে কিছু অস্থায়ী লোকবল থাকায় তাদের অনেককেই অনেক কারণে জবাবদিহির জায়গায় আনা যাচ্ছে না। এ জন্য জনবল বাড়ানো হবে। রাইট অফ (মূল হিসাব থেকে বাদ দেওয়া) করা লোনগুলো দেখার জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি করে দেওয়া হবে। যে ঋণ ব্যাংকে ফিরে আসছে না সেগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। আইনি জটিলতাগুলো পরিবর্তন-পরিমার্জন করা হবে। কী কারণে, কার কারণে ঋণ দেওয়া অর্থগুলো ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা হবে। এ ক্ষেত্রে ঋণখেলাপিরা সহজেই হাই কোর্টে চলে যান। অবশ্য যে-কেউই কোর্টে যেতে পারেন। পাবলিক-প্রাইভেট যে ব্যাংকের টাকাই হোক, দিন শেষে তা জনগণেরই টাকা। খেলাপি ঋণের সঙ্গে সরকারি কোনো কর্মকর্তার যোগসাজশ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। জনগণের অর্থ বেহাত হয়ে যাক কিংবা ব্যাংকে ফিরে না আসুক এটা আমরা চাই না।’ তিনি বলেন, ‘উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য ব্লক চেইন টেকনোলজির ব্যবহার শুরু করা হবে, যা এখন নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এ ধরনের প্রযুক্তি রয়েছে। এ জন্য প্রত্যেকের কর্মদক্ষতা, সৃজনশীলতা বাড়াতে ব্লক চেইন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। আমরা ফিরে যাব ১৯৭২ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনে। সে সময় থেকে যেসব ঋণ রাইট অফ করা হয়েছে সেগুলো আবার খতিয়ে দেখা হবে।’

সর্বশেষ খবর