সদ্য ঘোষিত মজুরি কাঠামো বৈষম্য নিয়ে রাজধানী এবং সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশ ও শ্রমিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন।
এদিকে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে আগের ৩০টি কারখানার সঙ্গে গতকালও জামগড়াসহ বেশ কিছু এলাকার আরও ১০টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর কালশীতেও পোশাক শ্রমিকরা গতকাল রাস্তা অবরোধ করেন। স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসহ আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নিলে মিরপুরসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আশুলিয়ার ইপিজেড, বাইপাইল, বেরুন, জামগড়া, ইউনিক, চারাবাক, আশুলিয়া, নরসিংহপুরসহ মোট ১২টি পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। পুলিশ এতে বাধা দিলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়ার বেরুন এলাকায় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাস্তা অবরোধ করে রাখা শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ সময় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শ্রমিক ও পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যের উপস্থিতিতে প্রায় ১ ঘণ্টা পর টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে পোশাক শ্রমিকদের জন্য গত বছর ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোর সাতটি গ্রেডের মধ্যে যে তিনটি গ্রেড নিয়ে আপত্তি এসেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম সচিব আফরোজা খান। গতকাল সচিবালয়ে মজুরি কাঠামো পর্যালোচনা কমিটির প্রথম সভার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। যা বললেন জার্মান রাষ্ট্রদূত : শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়ার জন্য কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বড় ক্রেতাদের অন্যতম জার্মানির বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলজ। শ্রমিকদের ওপর পুলিশি দমনপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ধর্মঘটকারী শ্রমিকদের দমন করা উচিত নয়।