মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

শুভেচ্ছা বিনিময়ে সংলাপ হবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুভেচ্ছা বিনিময়ে সংলাপ হবে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে নির্বাচন নিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনো সংশয় নেই, গণতান্ত্রিক বিশ্বের কোনো প্রশ্ন নেই, সেখানে সংলাপের প্রশ্ন হাস্যকর।

সংলাপ নয়, শুভেচ্ছা বিনিময় হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয় সমাবেশ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টসহ যে ৭৫টা দল সংলাপে অংশ নিয়েছিল, নির্বাচন-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের সংলাপের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না।’ সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে। এই মহানগরে আছে, সারা দেশে দুর্বলতা আছে। সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে দলকে সংগঠিত করা। ঘর গোছাতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন বেশি দূরে নয়। সামনে উপজেলা নির্বাচন। এখন থেকে দল আরও গতিশীল করতে হবে।’ ১৯ জানুয়ারি বিজয় সমাবেশের কথা তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশাল বিজয় বিশাল দায়িত্ব। বিজয়ী দলের অনেক দায়িত্ব। তাই জনদুর্ভোগ মাথায় রাখতে হবে। মহাবিজয়ে কেউ যেন মহাদাপট দেখাতে না যান। এ মহাবিজয় থেকে জনগণের কাছে আরও বিনয়ী হবেন। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে কিছুটা জনদুর্ভোগ হতে পারে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। দল ও সরকার আলাদা করার প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিজয়কে যদি সংহত করতে চাই, তাহলে আমাদের দল গোছাতে হবে। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ বিজয় চাইলে দলের ভিতরের সমস্যা আগে ঠিক করতে হবে। এই সমস্যাগুলো অনতিক্রম্য নয়, অতিক্রম্য।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের কোথাও কোনো সংশয় নেই, গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছে, কোনো বিতর্ক কোনো প্রশ্ন না করেই, সেখানে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।’  মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘এ বিজয় সর্বকালের সবচেয়ে বড় বিজয়। বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে এ আয়োজন। সবার অংশগ্রহণে ঐতিহাসিক বিজয় সমাবেশ উদ্‌যাপন করতে চাই। সারা শহর জনসমুদ্রে রূপান্তর করে প্রমাণ করতে চাই, ঢাকা শহর শেখ হাসিনার ছিল, আছে, থাকবে।’ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এই বিজয়ের পর আমাদের দায়িত্বশীলতা আরও বেড়ে গেছে। আমরা দায়িত্বশীল আচরণ করলে আগামীতেও একই রকম সফলতা পাব। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আমরা যেন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সমূলে উৎপাটন করতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। আবদুর রহমান বলেন, ‘আগামী ১৯ তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ আমাদের বিজয় সমাবেশ। এই বিজয় সমাবেশের মাধ্যমে আমরা বিজয়কে উদ্‌যাপন করব। এ বিজয় সমাবেশে জনতার ঢল নামবে। আগের সমাবেশগুলোর চেয়ে এবারের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতা-কর্মীদের প্রবেশের গেট আরও বাড়ানো হবে। মহিলাদের জন্য আলাদা গেট থাকবে।’

সর্বশেষ খবর