শনিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

গুলিবিদ্ধ লাশের গলায় লেখা ‘আমি ধর্ষণের হোতা’

প্রতিদিন ডেস্ক

ঢাকার আশুলিয়ায় দলবেঁধে ধর্ষণের পর পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রধান আসামি রিপনের (৩৯) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিডিনিউজ

রিপন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার আবদুল লতিফের ছেলে। তিনি একই পোশাক কারখানার লাইন চিফ ছিলেন।

সাভার মডেল থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভিতরে খালি এক মাঠ থেকে রিপনের লাশ উদ্ধার         করা হয়। তার গলায় ঝোলানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’। তবে কে বা কারা রিপনকে গুলি করে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, গত ৫ জানুয়ারি গোরাট এলাকায় এক পোশাক কারখানার কর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর তার মৃত্যুর ঘটনায় যে মামলা হয়েছিল, তার মূল আসামি ছিলেন রিপন। ১৬ বছর বয়সী ওই তরুণী সেদিন সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে পাঁচজন তার পথরোধ করে। তাকে কারখানার পেছনে একটি মাঠে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ৭ জানুয়ারি নরসিংহপুরের নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় মেয়েটির বাবা ওই কারখানার কর্মী আবদুর রহিম, লাইন চিফ রিপন ও ক্যান্টিন মালিক শিপনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে রহিমকে মামলা হওয়ার দিনই গ্রেফতার করে পুলিশ। ওসি আবদুল আউয়াল বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভিতরে একটি খালি মাঠে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে রিপনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সর্বশেষ খবর