রবিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

যুবলীগের ছিল চোখ ধাঁধানো আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুবলীগের ছিল চোখ ধাঁধানো আয়োজন

বিজয় উদযাপনে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশের একাংশ জুড়ে ছিল যুবলীগ কর্মীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে যুবলীগের ছিল চোখ ধাঁধানো আয়োজন। নেতা-কর্মীতে উদ্যান ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই নয়, যেন শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট, প্রেস ক্লাব, হাই কোর্ট ও মৎস্যভবন এলাকায় ছিল জনসমুদ্র। আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের নির্দেশনায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পরিচালনায় লাল-সবুজের সমারোহ ভিন্ন মাত্রা আনে জনসমুদ্রে। গতকালের বিজয় সমাবেশে ২ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সমাবেশের একটি বড় অংশ জুড়েই ছিল যুবলীগের নেতা-কর্মী। তাদের গায়ে ছিল সবুজ গেঞ্জি, মাথায় সবুজ ক্যাপ, হাতে ছিল লাল-সবুজের জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং লাল ফিতা। দক্ষিণের সভাপতি সম্রাট জনসমাবেশের মাঝামাঝিতে একটি উঁচু টেবিলে দাঁড়িয়ে যখন যে নির্দেশনা দেন নেতা-কর্মীরা সেই নির্দেশনা মোতাবেক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভিন্ন মাত্রা এনে দেন। কখনো লাল-সবুজের পতাকা নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো, লাল ফিতা উড়িয়ে এবং হাতের কসরত (কদমফুল) প্রদর্শনী নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে ভিন্ন মাত্রায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরেও ছিল লোকারণ্য। বেলা আড়াইটায় আনুষ্ঠানিক জনসভা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই কানায় কানায় ভরে যায় উদ্যান। রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা-পাড়া-মহল্লা ছাড়াও ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠন এবং দলীয় এমপিরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন সমাবেশে। উৎসবমুখর পরিবেশকে আরও সাজিয়ে তোলে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ সুরের ব্যান্ড বাদ্য। ঢাকঢোল বাদ্যের সুরের তালে নেতা-কর্মীদের নৃত্য ছিল চোখে পড়ার মতো। আর ব্যানার, ফেস্টুনের সঙ্গে কয়েক হাজার লাল-সবুজের টি-শার্ট ও মাথায় সবুজ ক্যাপ, হাতের নৌকা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে যুবলীগের নিজস্ব গবেষণা ও প্রকাশনা সেল ‘যুব জাগরণ’ দুটি স্টল করে জনসভাস্থলের পাশে। এ দুটি স্টলে প্রায় ৪ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। জনসভার মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল নৌকার আদলে। এ বিজয় সমাবেশ বেলা আড়াইটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন থেকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বাদ্যযন্ত্রের বাজনাসহ দৃষ্টিনন্দন মিছিল নিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন। বেলা ১টার আগেই সমাবেশের সিংহভাগ স্থান ভরে যায় যুবলীগের লক্ষাধিক নেতা-কর্মীতে। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যুবলীগ একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। আমরা এর প্রমাণ বার বার দিয়েছি। গতকালের বিজয় সমাবেশকে ভিন্ন মাত্রা দিতে যুবলীগ চোখ ধাঁধানো আয়োজন করে। তিনি বলেন, যুবলীগের শ্রেষ্ঠ শাখা হচ্ছে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। গতকালের সমাবেশেও তার স্বাক্ষর রেখেছে। ঢাকা মহানগরী উত্তরের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো ছিল। যুবলীগ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, বিজয় সমাবেশকে দৃষ্টিনন্দন করতে আমাদের নেতা-কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থিত থেকে জনসমাবেশকে সফল করেছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে যুবলীগ মাঠে ছিল। আগামীতেও রাজপথে থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়ন এগিয়ে নিতে জনমত সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যানের নির্দেশেই আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করে সমাবেশকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে চেষ্টা করেছি।

সর্বশেষ খবর